Recruitment Scam: 'ভগবান কে বুঝতে না পারলে, ঠাকুরঘরে যান..', মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
HC on Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের কী নিয়ে মন্তব্য করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ?
কলকাতা: তাঁর এক নির্দেশে বুকে কেঁপেছে হাজার হাজার অযোগ্য চাকরি প্রার্থীর। দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগে, তাঁরই নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন খোদ প্রতিমন্ত্রীর পরিবারের লোকজন। কোর্টের বাইরে যিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই নিয়ে, প্রতিক্রিয়া দিতে দুবার ভাবেননি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ফের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) করলেন কড়া মন্তব্য। বললেন, 'ভগবান কে বুঝতে না পারলে, ঠাকুরঘরে যান, চিনে যাবেন।'
মূলত নিয়োগ মামলায় এসএসসির বিরুদ্ধে ২ আদালতে ২ বয়ানের অভিযোগ। এরপর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সুপ্রিমকোর্টের রেকর্ডেড সওয়াল শোনেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেন,'হাইকোর্টের বিচারপতি এবং আইনজীবীরা বোকা নয়। যারা ভাবছেন তারা 'কিং' নন।' বরাবরের মতোই তিনি বলেন, 'কমিশন কলকাতা হাইকোর্টে যা বলছে সওয়াল সেটা ভয়ে বা চাপে পড়ে কিনা, সেটা এসএসসি চেয়ারম্যান পরিষ্কার করে বলুন'। 'কেলেঙ্কারি হচ্ছে, দেখুন', ইডি'র আইনজীবীকে মন্তব্য করেন তিনি। এমনকি তিনি আরও বলেন, 'ঠাকুর ঘরে গিয়ে দেখুন, ভগবান চিনে যাবেন। যারা ভগবান কে বুঝতে পারছেন না।'
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জল অনেকদূর গড়িয়েছে। কখনও ওএমআর শিট মোটা টাকা নিয়ে নিয়োগ, বিরামহীন কারচুপির গ্রাফ ক্রমশ তির্যক হচ্ছে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় অভিযুক্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবং সঙ্গে ওএমআর শিট অর্থাৎ উত্তরপত্রও জমা দিতে বলেছিলেন। এরপর ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশে অন্তবর্তী নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। আর সুপ্রিম নির্দেশের পরেই ৯০৭ জনের নাম ও রোল নম্বার প্রকাশ্য়ে আনে এসএসসি।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, ২০১৬ সালে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগে, যে সাড়ে ৫ হাজার জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল এবং যারা পরবর্তী তালিকায় (Waiting List) রয়েছে, সেই সকল চাকরি প্রার্থীদের ওএমআর শিট প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে। যদিও এরপর ঘটনা মোড় নেয়।
আরও পড়ুন, জয়েও এল না স্বস্তি ! নন্দীগ্রামের এই পঞ্চায়েত প্রধানের পদ হাতছাড়া হতে চলেছে TMC-র
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। যদিও ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল রেখেছিল। এরপরই কমিশন ও চাকরিপ্রার্থীরা দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। গত মঙ্গলবার সেই মামলাতেই ৯০৭ জনের ওএমআর শিট দেখতে চায় সুপ্রিম কোর্ট।