টানা বৃষ্টি আর ধসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ, বিচ্ছিন্ন শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ও সিকিমের যোগাযোগ
শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে বালাসন নদীর সেতুর ৩ নম্বর পিলার বসে যাওয়ায় বন্ধ যান চলাচল।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, সনৎ ঝাঁ, উমেশ তামাঙ্গ, দার্জিলিং: কোচবিহারে প্রবল বৃষ্টির জের। মেখলিগঞ্জে তিস্তা নদীর জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে কৃষ্ণপদ রায় নামে বছর সাতচল্লিশের এক ব্যক্তির। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল সকালে তিস্তার তীরবর্তী এলাকায় বাড়ি থেকে জিনিসপত্র সরাতে যান কৃষ্ণপদ। তখনই জলের তোড়ে তিনি তলিয়ে যান। সন্ধেয় তাঁর দেহ উদ্ধার করেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।
অন্যদিকে, শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে বালাসন নদীর সেতুর ৩ নম্বর পিলার বসে যাওয়ায় বন্ধ যান চলাচল। যদিও বৃষ্টি কমেছে। ২৪ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও শুরু হয়নি মেরামতির কাজ। বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। শুধুমাত্র হাঁটাচলা ও মোটরবাইক চলাচলে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে পড়ে মাটিগাড়া। সেখানে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর রয়েছে বালাসন সেতু। বুধবার সকালে নজরে আসে সেতুর তিন নম্বর পিলার বসে গিয়েছে।
জল নেমে যাওয়ায় পিলারের ওই অংশের কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা জানতে পরিদর্শনে যান সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা। দার্জিলিঙের বিধ্বস্ত এলাকায় শুরু হয়েছে মেরামতি। খোঁজ নেই এসডিও অফিসে কর্মরত নিরাপত্তারক্ষীর।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও পূর্ত দফতরের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কলকাতা থেকে গন্তব্য শিলিগুড়ি হোক কিংবা পাহাড়, বালাসন সেতুর ওপর দিয়েই যেতে হয় সবাইকে। বাগডোগরা বিমানবন্দর যেতে গেলেও শিলিগুড়ি ও পাহাড়ের বাসিন্দাদের বালাসন সেতু পেরোতে হয়। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ের দিক থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরগামী যানবাহন গাড়িধুরা থেকে পানিঘাটা হয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এ দিকে বিপর্যস্ত কালিম্পং যাওয়ার রাস্তাও। প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পাহাড়। শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ও সিকিমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। গতকাল রাতে কালিম্পঙের বিরিক দারায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে। ফলে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ও সিকিম সংযোগকারী জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ।কালিম্পং, সিকিম থেকে আসা গাড়ি নৌকাঘাট ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল হয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছচ্ছে। প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ ঘুরে নামতে হচ্ছে পর্যটকদের।