Saumitra khan : 'হিংসা ছড়ানো, মারধর এবং শ্লীলতাহানি'র অভিযোগ, সৌমিত্র খাঁ-কে নিয়ে বড় নির্দেশ আদালতের
Saumitra khan Case : ২০২৩ সালে একটি অশান্তির ঘটনায় বিষ্ণুপুরের সাংসদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, মারধর এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : আদালতে স্বস্তি পেলেন সৌমিত্র খাঁ। বড় অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানা এলাকায় একটি অশান্তির ঘটনায় মামলা দায়ের হয় বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে। তার প্রেক্ষিতেই মামলাটি চলছিল। সৌমিত্রর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়। তবে আজকের মামলায় বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ নিলেন বড় সিদ্ধান্ত।
সোনামুখী থানায় দায়ের হওয়া FIR এর প্রেক্ষিতে চলতে থাকা মামলাটি খারিজ করলেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। ২০২৩ সালে একটি অশান্তির ঘটনায় বিষ্ণুপুরের সাংসদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, মারধর এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। নিম্ন আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে নিম্ন আদালত। সেই নির্দেশকে চ্য়ালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সৌমিত্র খাঁ। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ।
৯ জুলাই তাঁকে ফের হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। হাজিরা এড়ালে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছিল এমপি-এমএলএ আদালত। এর আগে বারবার আদালতে হাজিরা এড়ান সৌমিত্র। সৌমিত্রর আইনজীবী জানিয়েছিলেন , ভোট পরবর্তী হিংসা সামাল দিতেই ব্যস্ত ছিলেন সাংসদ। তাই আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি। এমপি এমএলএ আদালত জানিয়েছিল, বার বার তাঁকে তলব করা হলেও সাংসদ তাতে সাড়া দেননি । তারপরই আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সৌমিত্রর বিরুদ্ধে।
এরপর সৌমিত্র সেই FIR খারিজের আবেদন জানান উচ্চ আদালতে। শুক্রবার সেই আবেদনের শুনানি ছিল। এদিনই বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করে দেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য , চলতি বছর লোকসভা ভোটে রাজ্যে ১৮ থেকে নেমে ১২তে পৌঁছেছে বিজেপি। অনেক কম ব্যবধানে হলেও নিজের আসনটিতে জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন সৌমিত্র। এর এক মাসের মধ্যেই, চার কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচন হ। সেখানেও গেরুয়া শিবিরের ভাঁড়ার শূন্য। উল্টে হাতছাড়া হয়েছে ২১-এ জেতা তিনটি কেন্দ্র। রাজ্যে পরপর নির্বাচনে ভরাডুবির পরই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে বইছে ক্ষোভ-অসন্তোষের স্রোত। হালে বিজেপির রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকে প্রকাশ্যেই দলের সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, সাংগঠনিক রদবদলের নিশ্চয়ই দরকার আছে। কোনও ব্যর্থ মানুষকে, ব্যর্থদেরকে সবাই দেখতে পছন্দ করে না। নতুনদেরকে সুযোগ দিতে হয়।