BJP Agitation:প্রতিনিধিদল ফিরে যেতেই আমতলার পার্টি অফিসে তালা ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের
Central Representatives:বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল ফিরে যেতেই আমতলার পার্টি অফিসে তালা ঝোলালেন ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা।
গৌতম মণ্ডল, কলকাতা: বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল ফিরে যেতেই আমতলার পার্টি অফিসে তালা ঝোলালেন ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা। জেলা সভাপতি অভিজিৎ সর্দারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। অভিযোগ, পার্টি অফিস থেকে কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়া হয় জেলা সভাপতির অনুগামীদের। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয়েছে বলে অভিযোগ। বিক্ষোভে গুরুত্ব না দিলেও দলেরই একাংশকে কাঠগড়ায় তুলছেন বিজেপি জেলা সভাপতি। তাঁর দাবি, এটা দলীয় কোন্দল নয়, দলেরই কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থে এই কাজ করিয়েছে।
বিশদ...
আজ বিজেপি চার সদস্যের প্রতিনিধিদল সকাল পৌনে দশটা নাগাদ এই জেলা কার্যালয়ে আসেন। সকলের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এর পর তাঁরা চলে যান আলতাবেড়িয়া। এই আলতাবেড়িয়া যাওয়ার পথেই তৈরি হয় ক্ষোভ-বিক্ষোভ। সেখানেই ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির পরাজিত প্রার্থী অভিজিৎ দাস ববির অফিস। এখানেই জমায়েত অনেকের ক্ষোভ ছিল, কেন তাঁরা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কথা বলবেন না? সেই অসন্তোষের আঁচই জেলা পার্টি অফিসে আছড়ে পড়ে। অভিজিৎ দাসের অফিসে যাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাঁরা এখানে চলে আসেন। এবং এখানে এসে তাঁরা তালা লাগিয়ে দেন। জেলা সভাপতি বনাম অভিজিৎ দাস ববির অনুগামীদের মধ্যে তুমুল ঝামেলা হয়। বাগবিতণ্ডা থেকে ধাক্কাধাক্কি পর্যন্ত হয়। তার পর অভিজিৎ দাসের অনুগামীরা এখান থেকে চলে গেল তালা কাটা হয়। সূত্রের খবর, ঘটনার সময় অভিজিৎ দাস ববি না থাকার ফলে তাঁর সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের দেখা হয়নি। পরে জেলা সভাপতি আসেন দলীয় অফিসে। তাঁর অভিযোগ, যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা কেউ ঘরছাড়া নন। প্রসঙ্গত, আজই ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য সরকার। বিচারপতি কৌশিক চন্দর ডিভিশন বেঞ্চের ৬ জুনের নির্দেশের প্রেক্ষিতে জমা পড়ল রিপোর্ট।
রিপোর্ট নিয়ে...
গত ৬ জুন বিচারপতি চন্দ নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাঁরা ভোট-পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ তাঁদের এফআইআর দায়ের করার প্রক্রিয়া মসৃণ করতে হবে। সেই কারণেই নির্দেশে বলে দেওয়া হয়, রাজ্যের ডিজির ইমেল আইডি মামলাকারীদের দিতে হবে। সেই ইমেল আইডি-তেই সরাসরি ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ জানানো যাবে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে যদি মনে হয় যে এফআইআর দায়ের করার মতো অপরাধ হয়ে থাকতে পারে, তা হলে এফআইআর দায়ের করতে হবে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে যদি মনে হয় যে এফআইআর দায়ের করার মতো অপরাধ হয়ে থাকতে পারে, তা হলে এফআইআর দায়ের করতে হবে। এদিন যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে দাবি করা হয় গত ৬ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ওই ইমেল আইডি-তে ৫৬০টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
আরও পড়ুন:চিনি পাতা দই বাড়িতে পাতুন, কী করলে জমাট হবে বেশি, স্বাদেও আহা !