Hooghly Flood: পুজোর মুখে ফের বৃষ্টি, জলের তলায় চাষের জমি, আশঙ্কায় কৃষকরা
Hooghly News: বন্যার জল যতই সরছে। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটের পাশাপাশি জমির কঙ্কালসার চেহারা ততই প্রকট হচ্ছে।
সোমনাথ মিত্র, হুগলি: জল নামার আগেই দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal Weather) ফের বৃষ্টি। বাড়ছে নদীর জলস্তর। জল ছাড়ল ডিভিসি-ও। আর তাতে মাথায় হাত কৃষকদের। সরকারি সাহায্য না পেলে এরপর চাষ করা অসম্ভব বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
জলের তলায় চাষের জমি: বন্যার জল যতই সরছে। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটের পাশাপাশি জমির কঙ্কালসার চেহারা ততই প্রকট হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি ও নদীর জল উপচে প্লাবিত হয় হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা। খানকুল, পুরশুড়া, আরামবাগের পাশাপাশি তারকেশ্বর, জাঙ্গিপাড়া ব্লকে ৪০টির বেশি পঞ্চায়েতের এলাকা এলাকা প্লাবিত হয়। এখনও জল সব জায়গা থেকে নামেনি। তারই মাঝে হয়েছে নিম্নচাপের বৃষ্টি। ফলে প্লাবিত এলাকায় বড় হচ্ছে আশঙ্কার পাহাড়। এখনও কয়েকদিন দুর্যোগ চলবে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ফলে ফসল নষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এরপর চাষবাস নিয়ে গভীর চিন্তায় চাষিরা। তারকেশ্বরের কেশবচক, তালপুর, চাঁপাডাঙা পঞ্চায়েত এলাকার কৃষিজমির চিত্র ভয়াবহ।
ধানগাছের গোড়া পচে জমিতেই নুইয়ে পড়েছে। মাচাতেই শুকিয়ে গিয়েছে সবজি গাছ, জমির ফসলেও একই অবস্থা। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, প্লাবনের জলে ফসলের পুরোটাই ক্ষতি হয়েছে। ধান থেকে কাটরা ফসল, বাদাম থেকে তিল বিঘার পর বিঘা জমির ফসল নষ্ট হওয়ার জেরে পুজোর মুখে মাথায় হাত কৃষকের। তারকেশ্বর ব্লকের কৃষক প্রশান্ত মণ্ডল ১০ বিঘা জমিতে ধান বসিয়ে ছিল। তার পুরোটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রশান্ত জানান, "এখনও মাঠ থেকে সম্পূর্ণ জল বের হয়নি। সমস্ত ধান, সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। আগামী দিনে যে আলু বা কপি চাষ করব তাই নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। কারণ জমির জল শেষ হচ্ছে না। সবটাই শেষ হয়ে গেল।'' আরেক কৃষক সুশান্ত সামন্ত বলেন, "এত ক্ষয়ক্ষতির পর যে আমরা আলু বসাব, তার ক্ষমতা আমাদের নেই। সরকার যদি কিছু সাহায্য করে তাহলে পরবর্তী চাষবাস করতে পারব। তাছাড়া আর করার ক্ষমতা নেই। সাড়ে ৩ বিঘা ধান সহ সমস্ত সবজি চাষ পুরোটাই ক্ষতিগ্ৰস্থ। এই নিম্নচাপের কারণে আরও ক্ষতি হচ্ছে।''
হুগলি জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গেছে, ধান, সবজি, বাদাম ,তিল নিয়ে ৫৬হাজার ৫০০ হেক্টর জমি জলমগ্ন হয়েছে। সব জায়গায় এখনও জল পুরোটা নামেনি। ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ হিসাব নিকাশ চলছে। তারকেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি, সেচ কর্মাধ্যক্ষ অলোক কুমার ঘোষ জানান, "এই বন্যায় তারকেশ্বর এর চাঁপাডাঙা, তালপুর, কেশবচকের বিঘার পর বিঘা জমি জলের তলায়। আমাদের আধিকারিকরা সমস্ত এলাকা ঘুরে ক্ষতির তালিকা উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়েছে। আমাদের কৃষি বিমার ফর্ম পূরণ চলছে।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।