DhaniaKhali News: লোকসভা ভোটে হারের ফল, ধনিয়াখালিতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে একাধিক নেতা
TMC Joining: শনিবার ধনিয়াখালিতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন একাধিক নেতা-কর্মী। তাঁদের হতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন স্থানীয় বিধায়ক অসীমা পাত্রা।
সোমনাথ মিত্র, ধনিয়াখালি: লোকসভা ভোটে ধনিয়াখালি (DhaniaKhali) বিধানসভা এলাকায় বিরাট ব্যবধানে জয়ের পর গেরুয়া শিবিরে বড়সড় ভাঙন ধরাল তৃণমূল কংগ্ৰেস (TMC)। ধনিয়াখালি বিধানসভার বিজেপির (BJP) কো-কনভেনার, দুটি মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক সহ একাধিক পদাধিকারী শনিবার তৃণমূল কংগ্ৰেসে যোগদান করলেন। স্থানীয় বিধায়ক অসীমা পাত্র তাঁদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন।
শনিবার ধনিয়াখালি বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ধনিয়াখালি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যোগদান সভা আয়োজিত হয়। বিধায়ক অসীমা পাত্রের নেতৃত্বে ওই সভাটি আয়োজিত হয়। যেখানে ধনিয়াখালি বিধানসভা এলাকার বিজেপি মণ্ডল ৫ ও ৩-এর একাধিক কার্যকর্তা শাসকদলে যোগদান করেন। তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন ধনিয়াখালি বিধানসভার বিজেপি কো-কনভেনার আশিষ দাস, বিজেপি মণ্ডল ৫ ও ৩ - এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রহমান পুরকাইত ও বাপি রায়। পাশাপাশি মন্ডল ৫-এর সংখ্যালঘু মোর্চার সাধারণ সম্পাদক মন্টু মণ্ডল, মন্ডল ৫-এর সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি শেখ ইসমাইল ,কিষাণ মোর্চার সভাপতি শ্যামল সামন্ত সহ দুজন প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি বিশ্ব বাউল দাস ও তনুশ্রী দাস সহ কয়েকজন কর্মকর্তা। পাশাপাশি এই কার্যকর্তাদের সঙ্গে প্রায় ২৫০ জন কর্মী-সমর্থক তৃণমূল কংগ্ৰেসে যোগদান করেছেন বলে বিধায়ক অসীমা পাত্র দাবি করেছেন।
বর্তমানে ধনিয়াখালি বিধানসভার বিজেপির কো-কনভেনার আশিষ দাস একসময়ে বিজেপি থেকে তৃণমূল গিয়েছিলেন। পরে আবার বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। আজ আবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন।
এপ্রসঙ্গে আশিষ দাস বলেন, "একটা অনুপ্রেরণা নিয়ে বিজেপিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, লকেট চট্টোপাধ্যায় জিতে বিগত পাঁচ বছরে ধনিয়াখালি এলাকায় কোনও উন্নয়ন করেননি। সাধারণ মানুষ সহ বিজেপি কর্মীদের পাশে দাঁড়ায়নি। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের একটা বিরাট আত্ম-অহংকার ছিল যে আমি জিতব। উনি ওনার নিজের মতো চলেন। এই অহংকারই আমাদের পছন্দ নয়। তাই আমরা কীভাবে এই দলে থাকব? "
স্থানীয় বিধায়ক অসীমা পাত্র জানান, প্রায় ২৫০ জন বিজেপি নেতা-কর্মী ও সমর্থক আজ তৃণমূলে যোগদান করেন। এরা ভেবেছিল বিজেপি এলে বাংলায় উন্নয়ন হবে। কিন্তু. এখন এরা বুঝতে পেরেছে বিজেপি হচ্ছে শিল্পপতিদের সরকার। তাই এরা এলাকায় উন্নয়ন করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা-মাটি-মানুষের সরকারে যোগদান করেছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।