Hooghly News: বজ্রপাত থেকে আগুন গাড়িতে, কোনওক্রমে প্রাণরক্ষা যাত্রী ও চালকের
Car Gets Burnt: বাজের ঝলকানি থেকে আগুন চলন্ত গাড়িতে। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন চালক ও সওয়ারি! পুড়ে ছাই হয়ে গেল গাড়ি। দাদপুরের মহেশ্বরপুর পেট্রল পাম্পের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: বাজের (Thunder) ঝলকানি (Flash) থেকে আগুন (Fire) চলন্ত গাড়িতে (Car)। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন চালক ও সওয়ারি! পুড়ে ছাই (burn) হয়ে গেল গাড়ি। দাদপুরের মহেশ্বরপুর পেট্রল পাম্পের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
কী হয়েছিল?
পুড়ে ছাই হওয়া বোলেরো গাড়িটি করে ধনিয়াখালি থেকে সিঙ্গুর যাচ্ছিলেন সবিতা সাহা। সঙ্গে গাড়িচালক কিতাবুল মল্লিক। গাড়ি তখন দাদপুরে,দুর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়েতে। হঠাতই তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে বাজের কানফাটানো আওয়াজ ও চোখধাঁধানো ঝলকানি। সেই সময়ই দাদপুরের মহেশ্বরপুরে পেট্রোল পাম্পের সামনে একটি বিদ্যুতের টাওয়ারেও বাজ পড়েছিল। সবিতা সাহার দাবি, সেখান থেকে আগুনের ঝলকানি লেগে তাঁর বোলেরো গাড়িতে আগুন ধরে যায়। তিনি জানান, এসি চলায় গাড়ি কাচ বন্ধ ছিল। কিন্তু বাজের ঝলকানি দেখতে পেয়েছিলেন স্পষ্টই। আর তার পর সামনে আগুনের হলকা। কিছুটা ধাতস্থ হতে নজরে আসে, গাড়ির ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। জল দিয়ে তা নেভানোরও চেষ্টা করা হয়েছিল। লাভ হয়নি। দেখতে দেখতে আগুনের লেলিহান শিখা গোটা গাড়িকে গ্রাস করে। বিপদ বুঝে তার আগেই দৌড়ে গিয়ে একটি কারখানায় আশ্রয় নিয়েছিলেন সবিতা। তবে গোটা ঘটনাটি স্বচক্ষে দেখার আতঙ্ক এখনও কাটেনি। পরে বললেন, 'কপাল জোরে বেঁচে গিয়েছি।' গাড়ির চালক কিতাবুলেরও অভিজ্ঞতা প্রায় এক। বললেন, 'হঠাৎ গাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোতে থাকে। ব্যাটারির লাইন কেটে দেওয়ার পরও আগুন নেভেনি। গাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ায় প্রাণে রক্ষা পাই। গোটা গাড়িটা চোখের সামনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।' ঘটনাস্থলের কাছেই ছিল দাদপুর পুলিশের গাড়ি। খবর পেতে তারা ও এলাকার মানুষ সেখানে পৌঁছে যান। জল দিয়ে আগুন নেভানোর আর এক প্রস্ত চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে।
বজ্রপাতে বিপদ আগেও...
গত মে মাসে বাজ পড়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের বংশীধরপুর হালদারপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলে। ক্লাস চলাকালীনই সেখানে বজ্রপাত হয়। তাতে ছাত্র-শিক্ষিকা-সহ ১৭ জন আহত হয়েছিলেন। পরে ১ শিক্ষিকা-সহ ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে নায়ারহাট ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
এবার স্রেফ আগাম তৎপরতায় বড়সড় বিপদ এড়াতে পেরেছেন সবিতা ও কিতাবুল। কিন্তু গাড়ি পুড়ে যাওয়ার ওই দৃশ্য এখনও তাঁদের মনে আতঙ্কের গভীর দাগ তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন:মন্ত্রিত্ব-দলীয় পদ গিয়েছে আগেই, বিধানসভার কমিটি থেকেও বাদ দেওয়া হল পার্থকে