Fire Incident: ডানকুনির তেল মিলে বিধ্বংসী আগুন
Dankuni Fire Incident: ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ডানকুনিতে।
হুগলি: সদ্য গত সপ্তাহের মাঝামাঝি জোড়া অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হয়েছিল বাংলা। চিৎপুরে কালীপ্রসন্ন সিংহি রোডে ই-বাইকের গুদামে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। মূলত দাহ্য বস্তু মজুত থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। একইদিনে উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর স্টেশনের কাছে রেল লাইন লাগোয়া ঝুপড়িতেও আগুন লেগেছিল। আর এবার ডানকুনির চাড্ডা কমপ্লেক্সে তেল মিলে বিধ্বংসী আগুন (Dankuni Fire Incident)। ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন (Fire Engine)। আশপাশে একাধিক কারখানা, গুদাম থাকায় আশপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা।
সম্প্রতি হাওড়া ঘুসুড়িতে প্লাস্টিকের গুদামেও ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল। ফোরশোর রোডের বিজয়শ্রী জুটমিলের গুদামে আগুন লেগেছিল। দমকল সূত্রে খবর এসেছিল, প্রচুর পরিমাণে পাট মজুত থাকায় দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে দিয়েছিল গুদাম। দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল আগুন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল পার্শ্ববর্তী এলাকায়। দমকলের ২টি ইঞ্জিন ঘণ্টাদেড়েক লড়াই চালায়। তারপর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছিল বলে খবর। আর এবার ফের আগুন লাগার ঘটনা ঘটল।
মূলত কারখানা, গোডাউন, শোরুমে আগুন লাগার ঘটনা বাদ দিলে বহুতলে আগুন লাগার ঘটনাও কম নেই। কারখানায় দাহ্য পদার্থ যদি কারণ হয়ে থাকে, শহরের একাধিক বাড়িতেও আগুন লাগার অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রধান খলনায়ক কারেন্টের তার অর্থাৎ শর্টসার্কিট এবং গ্যাস সিলিন্ডার বাস্ট করে আগুন। অমৃতসরের ওষুধের কারখানাতেও বিধ্বংসী আগুনের ঘটনা ঘটেছিল।ওই ঘটনায় একাধিক জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। সূত্রের খবর, এই কারখানায় প্রায় ১৬০০ শ্রমিক কাজ করে। কারখানায় রাসায়নিক ভর্তি ড্রাম মজুত থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। ৮ ঘণ্টার লাগাতার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছিল।
আরও পড়ুন, ১৩ তেই সব শেষ, সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়াকে ছোবল 'চন্দ্রবোড়ার'
চলতি বছরের অগাস্ট মাসে পশ্চিমবঙ্গের বউবাজার এলাকার বহুতলে আগুন লেগেছিল। তবে এক্ষেত্রে কারণটা ছিল ব্যাতিক্রমী। মূলত ওই বহুতলের বেসমেন্টে রাসায়নিকের গুদাম ছিল। সেখানেই আগুন লাগতে উপরের তলার ফ্ল্যাটের আবাসিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল আতঙ্ক। সঙ্কীর্ণ রাস্তায় আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়েছিল দমকল। কলকাতায় (Kolkata) এই বহুতলটির বেসমেন্টে রয়েছে মূলত রাসায়নিকের গুদাম। উপরের তলায় আবাসন, সেখানে আবাসিকরা রয়েছেন। সাততলা ভবনে বেসমেন্টে রয়েছে গুদাম। সেখানে রয়েছে রাসায়নিকের ড্রাম। সেখানেই একের পর এক বিস্ফোরণ (Exploitation) ঘটেছিল। প্রথমে সেখানে ঢুকতে পারছিলেন না দমকলকর্মীরা। ওই বেসমেন্টে ঢোকার ও বেরনোর পথ একটিই। সেটি বন্ধ ছিল। পিছনের একটি গেট কেটে আপাতত ব্যবস্থা করা হয়েছিল।