Hooghly News: ৩ দিন ধরে নিখোঁজ বৃদ্ধা, চুঁচুড়ায় আলমারি খুলতেই উদ্ধার দেহ
Elderly Womans Body Have Been Found: তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন বৃদ্ধা। রহস্যজনকভাবে শনিবার ঘরের ভিতরের আলমারি থেকেই উদ্ধার হল তাঁর দেহ। চুঁচুড়ার ঘটনায় তুমুল কৌতূহল এলাকাবাসীর মধ্যে। খবর যায় পুলিশে।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: তিনদিন ধরে নিখোঁজ (missing) ছিলেন বৃদ্ধা (elderly woman)। রহস্যজনকভাবে (mystery) শনিবার ঘরের (room) ভিতরের আলমারি (almirah) থেকেই উদ্ধার (rescue) হল তাঁর দেহ (body)। চুঁচুড়ার (chinsurah) ঘটনায় তুমুল কৌতূহল এলাকাবাসীর মধ্যে। খবর যায় পুলিশে। এর মধ্যেই দহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
কী ঘটল?
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম ভারতী ধাড়া। তিন দিন ধরে খোঁজ মিলছিন না তাঁর। আজ, রহস্যজনক ভাবে তাঁর ঘরেই দুর্গন্ধ পেয়ে আলমারি খোলা হয়। দেখা যায়, বালিশের নিচে চাপা রয়েছে বৃদ্ধার দেহ। চুঁচুড়া শ্যামবাবুর ঘাট এলাকার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। কে বা কারা এর নেপথ্যে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্তও।
প্রাথমিক ভাবে যা উঠে এল...
মৃতার পুত্র ও পুত্রবধূ আঙুল তুলছেন তাঁর স্বামীর দিকে। ভারতী ধাড়ার ছেলে ও ছেলের বউয়ের অভিযোগ, গত কদিন ধরেই বৃদ্ধ দম্পতির মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল। তার জেরেই এই কাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। সূত্রের খবর, তদন্ত শুরু করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভারতী ধাড়ার ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তবে তাঁদের বক্তব্য, ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। যদিও প্রশ্ন উঠছে এখন থেকেই। কী রকম? প্রথমত পড়শিদের দাবি, যে ঘরের আলমারি থেকে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার হয়েছে সেখানে তিনি ও তাঁর স্বামীই থাকতেন। এত ছোট ঘরের আলমারিতে দেহ এল কী ভাবে? প্রথম খটকা এখানেই। দ্বিতীয়ত, যে ভাবে দেহের উপর বালিশ চাপা দিয়ে রাখা ছিল তাতেও আরও কিছু সন্দেহ তৈরি হয়েছে। পড়শিরাও বৃদ্ধ-বৃদ্ধার মধ্যে অশান্তির কথা মেনে নিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মৃত্য়ুর কারণ স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছুই বলতে রাজি নন তদন্তকারীরা। মৃতার স্বামী ও ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি পড়শিদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে গোটা এলাকায় তীব্র চাপা কৌতূহল। কী ভাবে মৃত্য়ু হল বৃদ্ধার? নেপথ্যের রহস্য কী? প্রসঙ্গত, এর আগে, গত জুলাই মাসে এক একাকী বৃদ্ধার রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়ায় সিঁথিতে। মৃতের নাম তপতী চট্টোপাধ্যায়। সিঁথির কেদারনাথ দাস লেনের এই বাড়ির একতলায় একাই থাকতেন বৃদ্ধা। ঘটনার দিন রাতে ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধাকে পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃদ্ধাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
আরও পড়ুন:রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে মহানগরে, আর কী বলছে কলকাতার হাওয়া বাতাস?