Hooghly: চন্দননগরে গ্রাহক সেজে স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থায় ডাকাতি ৭ সশস্ত্র দুষ্কৃতীর, পাকড়াও ৩
চারটি বাইক ও একটি মারুতি গাড়ি নিয়ে অপারেশনে আসে হামলাকারীরা...
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দননগর: পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের পর এবার হুগলির চন্দননগর। স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থায় গ্রাহক সেজে ডাকাতি। রিভলভারের বাট দিয়ে কর্মীদের বেধড়ক মারধরের পর গুলি চালাতে চালাতে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ।
পিস্তল উঁচিয়ে দুষ্কৃতীদের খোঁজে নামলেন পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে তিন দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করল পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে চন্দননগর শহরের প্রাণকেন্দ্র লক্ষ্মীগঞ্জের বাজার এলাকায় ডাকাতির ঘটনা যেন টানটান থ্রিলারকেও হার মানায়।
স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থার কর্মীদের দাবি, আচমকা ৬ থেকে ৭ জন দুষ্কৃতী অফিসে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে কর্মীদের মারধর শুরু করে। সোনা এবং কয়েক হাজার টাকা হাতিয়ে, দুষ্কৃতীরা গুলি চালাতে চালাতে পালিয়ে যায় বলে দাবি কর্মীদের। সংস্থার কর্মী রণজয় মুখোপাধ্যায় বলেন, বন্দুকের বাঁট দিয়ে আমাকে মেরেছে। একবার নয় দু-তিনবার গুলি ছোড়ে। তবে গুলি ব্রাঞ্চে করেনি, বাইরে করে।
সংস্থার নিরাপত্তারক্ষী বিষ্ণুপ্রিয় রায় বলেন, পিস্তল দেখিয়ে মারতে মারতে ভিতরে ঢুকে সবাইকে বেধড়ক মারে। সবার হাতে অস্ত্র ছিল। ডাকাতির খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পদস্থ কর্তারা। গাড়ি থামিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। পালানোর সময় চন্দননগর ও চুঁচুড়া থেকে ৩ দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করে পুলিশ।
দুষ্কৃতীরা যাতে জলপথ দিয়ে পালাতে না পারে, তার জন্য মগরা থেকে রিষড়া পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে চলে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চারটি বাইক ও একটি মারুতি গাড়ি নিয়ে অপারেশনে আসে হামলাকারীরা। তাড়াহুড়ো করে পালানোর সময় দু’টি বাইক ও একটি মারুতি ফেলে যায় তারা।
পুলিশ গাড়িগুলি আটক করেছে। কত টাকা বা সোনা নিয়ে যেতে পেরেছে দুষ্কৃতি তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: আসানসোলে স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থায় গ্রাহক সেজে ডাকাতি, লুঠ নগদ ৩ লক্ষ টাকা, ১২ কেজি সোনা
সিউড়িতে স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থায় ডাকাতির চেষ্টা, গুলিতে আহত টোটোচালক