Hooghly : বস্তা-প্রতি সারের দাম ৩০০-৪০০ টাকা বেশি নেওয়ার অভিযোগ, হুগলিতে শোকজ ৩ ব্যবসায়ীকে
Hooghly farmers : দেরি হলে আলুর ফলন মার খাবে। তাই চাষিরা আলু বসানোর কাজ শুরু করেছেন। আর এই সময় আলু চাষে রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয়...
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, পোলবা(হুগলি) : আলু চাষের মরসুমে সারে কালোবাজারি শুরু হয়েছে হুগলিতে । চাষিদের থেকে এমনই অভিযোগ পেয়ে আজ বিভিন্ন সারের দোকানে অভিযান চালায় হুগলি জেলা প্রশাসন। বিক্রির হিসাব দিতে না পারায় তিন সার ব্যবসায়ীকে শোকজ করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে না পারলে তাঁদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
জমি থেকে ধান তোলার পর আলু জমি তৈরি শুরু হয়। নভেম্বর শেষ, এবার আলু বীজ মাটিতে বসিয়ে দিতে হবে। দেরি হলে আলুর ফলন মার খাবে। তাই চাষিরা আলু বসানোর কাজ শুরু করেছেন। আর এই সময় আলু চাষে রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয়। কিন্তু কৃষকদের অভিযোগ, তাঁদের চাহিদার সুযোগ নিয়ে সারের দাম হঠাৎ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতি বস্তা সারের যা দাম তার থেকে তিনশো-চারশো টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে কোথাও কোথাও। গতকাল গোঘাটে সারের কালোবাজারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ-অবরোধ হয়।
কালোবাজারি রুখতে এবার সক্রিয় হল হুগলি জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলাশাসক(জেলা পরিষদ) শান্তনু বালা, কৃষি উপ অধিকার্তা জয়ন্ত পাড়ুই, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা বিভিন্ন সারের দোকানে ঘুরে স্টক মেলান। কত দামে বিক্রি হচ্ছে তা দেখেন।
আজ পোলবা দাদপুর ব্লকের বেশ কয়েকটি সারের দোকানে অভিযান চালানো হয়। হারিটের তিনটে সারের দোকানে সারের মজুত আর বিক্রির হিসাব ঠিকমতো দিতে না পারায় শোকজ করা হয় বলে জানান মনোজ চক্রবর্তী। সারের কালোবাজারি রুখতে এই ধরনের অভিযান চলবে বলেও জানান কৃষি কর্মাধ্যক্ষ। চাষিরা সার পাচ্ছেন না, তাই ডিস্ট্রিবিউটরদের বলা হয়েছে, একসঙ্গে বেশি সার একজন-দুজনকে না দিয়ে সম বণ্টন করতে। সার যাতে কৃষকরা পান, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বেশি দাম যেন না নেওয়া হয় তা নিশ্চিত করতে পোলবা ব্লকে ডিলারদের ডেকে বৈঠক করা হয়।