![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
HS 2023: 'আমরা কাজ করেও গালাগাল শুনি পাবলিকের', কেন বললেন সিভিক ভলেন্টিয়ার ?
Civic volunteer at HS 2023 : উচ্চ মাধ্যমিকে ফের মানবিক মুখ সিভিক ভলেন্টিয়ারের। তবে এদিন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে পেশাগত সার্থকতা পেলেও, কোথাও যেনও অভিমানের সুর ভেসে এল ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের গলায়।
![HS 2023: 'আমরা কাজ করেও গালাগাল শুনি পাবলিকের', কেন বললেন সিভিক ভলেন্টিয়ার ? Hooghly News HS 2023 civic volunteer helps student on HS examination at Hind motor HS 2023: 'আমরা কাজ করেও গালাগাল শুনি পাবলিকের', কেন বললেন সিভিক ভলেন্টিয়ার ?](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/03/14/aca523b28fd9312d9757ed9376df8aa51678785161198484_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: মাধ্যমিকের (Madhyamik 2023) পর এবার উচ্চ মাধ্যমিকে (HS 2023) সাহায্যের হাত এগিয়ে দিতে দেখা গেল সিভিক ভলেন্টিয়ারকে। তবে এদিন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে পেশাগত সার্থকতা পেলেও, কোথাও যেনও অভিমানের সুর ভেসে এল ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের গলায়। বললেন, 'আমরা এমনিতেই কাজ করি, তারপরেও গালাগাল শুনি পাবলিকের।'
আজ থেকে শুরু হল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষার প্রথম দিনেই বিপত্তি বাধে উত্তরপাড়া ইউনিয়ন গার্লস স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থী রবীন দাস নামে এক ছাত্রের। পরীক্ষার হলে ঢোকার সময় সে লক্ষ্য করে পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডটি সে ভুল করে বাড়িতে রেখে এসেছে। হিন্দমোটর ভুপেন্দ্র স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র রবীন দাসের বাড়ি হিন্দমোটর নন্দন কাননে।
এদিকে পরীক্ষায় অংশ যদি নিতে না পারে, এই ভাবতেই, কান্নাকাটি শুরু করে দেয় ওই ছাত্রটি । ঘটনার খবর পেয়েই তার বাড়ির ঠিকানা তার থেকে জেনে বাইক নিয়ে তার এডমিট কার্ড এনে দিতে বাইক নিয়ে ছুটে যান স্কুলের সামনে ট্রাফিকের ট্রাফিকে কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়ার আমিক ঘোষ। অ্যাডমিট কার্ডটি সঠিক সময় তাঁর বাড়ি থেকে নিয়ে এসে ছাত্রের হাতে পৌঁছে দেয় ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার। সিভিক ভলেন্টিয়ারের উদ্যোগে বেশ খুশি ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি অভিভাবকেরাও।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের মাধ্যমিক হোক কিংবা উচ্চ মাধ্যমিক, সকল পরীক্ষাতেই পুলিশকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে দেখা গিয়েছে। কোথাও অ্য়াডিমিট পৌঁছে দেওয়া, কোথাও আবার পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আর এবার ফের তেমনই এক মানবিক মুখ দেখা গিয়েছে হুগলি জেলায়। এই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পেরে একগাল হাসি ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের।
তিনি সাংবাদিককে জানিয়েছেন, আমি ডিউটি করছিলাম, তখনই ওই পরীক্ষার্থী আসেন। এদিকে অ্যাডমিট আনতে ভুলে যাওয়ায় কান্নাকাটি শুরু করেন ওই পরীক্ষার্থী। এরপর ওই পরীক্ষার্থীর বাড়ির ঠিকানা জেনে নিয়ে , অ্যাডমিট কার্ড আনতে হিন্দমোটর নন্দন কাননে পৌঁছে যান। এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পরীক্ষার্থীর হাতে অ্যাডমিট কার্ড পৌঁছে দেন তিনি। এবং পরীক্ষা দিতে পারেন ওই পরীক্ষার্থী। স্বাভাবিকভাবেই সিভিক ভলেন্টিয়ারের মানবিক মুখ দেখতে পায় হুগলিবাসী। কিন্তু কোথাও যেনও বিষাদের সুর শোনা যায় তার গলায়।
আরও পড়ুন, 'পিসি-ভাইপোকে গ্যারাজ করব', নন্দীগ্রাম দিবসে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
প্রসঙ্গত, রাজ্যের একাধিক ঘটনায় কাঠগড়ায় দাড়াতে হয়েছে সিভিক ভলেন্টিয়ারদেকে। অভিযোগের আঙুল তুলে খতিয়ে দেখার আগেই অপদস্ত হওয়ার একাধিক উদাহরণ রয়েছে। আর সেই কথাকে সামনে রেখেই ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার আরও বলেন, 'আমার ভালই লাগছে এই কাজটি করতে পেরে। আমরা এমনিতেই কাজ করি, তারপরেও গালাগাল শুনি পাবলিকের। খারাপ কথা বলে পাবলিক, যদিও সেটা বলতেই পারে, তবে আমরা কি কাজ করি, না করি তা জানি', বলে কথা শেষ করেন তিনি।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)