Hooghly: একের পর এক বাইক চুরি, তদন্তে নেমে ডানকুনি থানার পুলিশের জালে ৪
Hooghly News: ধৃতদের সাতদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে ডানকুনি থানার পুলিশ।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: বেশ কিছুদিন ধরেই নজর করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা (local people)। চুরি যাচ্ছে একের পর এক বাইক (Bike Theft)। থানায় একাধিক অভিযোগ জমা পড়ছিল। এবার বাইক চুরির অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার (arrested) করল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে চুরি হওয়া একাধিক বাইকও। ঘটনা ডানকুনি (Dankuni) এলাকার।
পুলিশের জালে ‘বাইক চোর’
ডানকুনি থানা এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই বাইক চুরির ঘটনা ঘটছিল। দিল্লি রোড, বা দুর্গাপুর রোডে রাস্তার ধারে রাখা বাইকগুলিই বেশি চুরি হচ্ছিল। স্থানীয় থানায় বেশ অনেকগুলি বাইক চুরির অভিযোগও জমা পড়ে। তদন্তে নেমে পুলিশ হাওড়া ডোমজুড় এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করেছে। সেই সঙ্গে তাদের থেকে উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া দশটি বাইক। তাদের সাতদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে ডানকুনি থানার পুলিশ।
মাসখানেক আগে মোটরবাইক চুরি চক্রে একাধিক গ্রেফতার করে লেকটাউন থানার পুলিশ। উদ্ধার হয় একাধিক বাইক। মোট পাঁচদিনে ৬টি চোরাই বাইক উদ্ধার হয়। ধৃতের সংখ্যা বেড়ে ২। ২৩ জুন, লেকটাউনের জয়া সিনেমা হলের সামনে একটি বাইক চুরি যায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বাইক চুরি চক্রের তিন পাণ্ডাকে চিহ্নিত করে পুলিশ। ১ জুলাই সৌরভ ঘোষ ও তারপর অভিজিৎ কাহার নামে চক্রের দুই পাণ্ডাকে গ্রেফতার করা হয়। বাইক চুরি করে ভিনরাজ্যে পাচার করা হত বলে পুলিশের দাবি।
আরও পড়ুন: North 24 Parganas: পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করল বিএসএফ, স্প্রে মেশিন থেকে উদ্ধার ১৯ সোনার বিস্কুট
এছাড়া হাওড়ার বালিতে বেপরোয়া গতিতে পালানোর সময় সিভিক ভলান্টিয়ারের তৎপরতায় ধরা পড়ে বাইক চোর। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বালি থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর মেলে বেপরোয়া গতিতে যাওয়ার সময় এক বাইক আরোহীকে দেখে সন্দেহ হয় সিভিক ভলান্টিয়ার ইমরান আনসারির। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বাইক চালকের কাছে গাড়ির চাবি অথবা নথি কিছুই নেই। অভিযোগ, সেইসময় সিভিক ভলান্টিয়ারকে বাইক বিক্রির টাকার ভাগ দেওয়ার টোপ দেয় বাইক চোর। এরপরই বালি থানায় ফোন করেন সিভিক ভলান্টিয়ার। ঘটনাচক্রে সেইসময় থানায় হাজির হন বাইকের মালিক। বাইক চুরির পিছনে বড়সড় কোনও চক্র রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ অনুমান করে।