তিন জেলায় তৃণমূলের করোনা কর্মসূচি ঘিরে বিতর্ক, তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা
কোথাও করোনা সচেতনতায় তৃণমূল বিধায়কের মিছিল নিয়ে রাজনৈতিক তরজা। কোথাও আবার ভ্যাকসিনের লাইনে কুপন বিলি ঘিরে শাসকদলকে আক্রমণ। কোথাও সরকারি ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে তৃণমূলের ব্যানার নিয়ে বাঁধল বিতর্ক।
সমীরণ পাল, সনৎ ঝা ও সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়: তিন জেলায় করোনা নিয়ে তৃণমূলের কর্মসূচি ঘিরে বিতর্ক। ভাটপাড়ায় কেন সরকারি ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে তৃণমূলের ব্যানার? চুঁচুঁড়ায় করোনা সচেতনতা প্রচারে কেন বিধায়কের মিছিল? প্রশ্ন বিজেপির। এরইমধ্যে, শিলিগুড়িতে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে কুপন বিলি নিয়ে শাসকদলকে আক্রমণ করেছে বামেরা।
কোথাও করোনা সচেতনতায় তৃণমূল বিধায়কের মিছিল নিয়ে রাজনৈতিক তরজা। কোথাও আবার ভ্যাকসিনের লাইনে কুপন বিলি ঘিরে শাসকদলকে আক্রমণ। কোথাও সরকারি ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে তৃণমূলের ব্যানার নিয়ে বাঁধল বিতর্ক।
উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে, চলছে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প। কিন্তু ক্যাম্পের বাইরে রয়েছে তৃণমূলের ব্যানার। সরকারি ক্যাম্পের বাইরে কেন থাকবে রাজনৈতিক দলের প্রচার? সেই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।
ভাটপাড়ার বিজেপি বিধায়ক পবন সিংহ জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই আমি বলে আসছিলাম ভ্যাকসিন নিয়ে রাজ্যে রাজনীতি চলছে বিরোধীরা ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না যারা শাসক দলের লোক তারাই শুধু ভ্যাকসিন পাচ্ছেন।
জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের কথায়, দলের নাম বদনাম করার জন্য কেউ বা কারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক ভাবে এই কাজগুলি করছে। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে, শিলিগুড়িতে ভ্যাকসিনের লাইন সামলাতে দেখা গেল তৃণমূল নেতা তথা খোদ পুর প্রশাসক গৌতম দেবকে।
শিলিগুড়ি পুরসভার পুর প্রশাসক গৌতম দেব আশ্বাস দিয়েছেন, সবাই ভ্যাকসিন পাবে। গৌতম দেবের উপস্থিতিতেই ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের বিলি করা হয় কুপন। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। শিলিগুড়ি পুরসভার সিপিএম নেতা ও প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, 'জনমোহিনী রাজনীতি। কেন্দ্র ভ্যাকসিন দিলেও, তা বিলি করে নাম কিনছে তৃণমূল সরকার।'
এ দিকে, সংক্রমণ বাড়তে থাকায়, হুগলির চুঁচুড়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এলাকায় সচেতনতা মিছিল করেন চুঁচুড়ার বিধায়ক। বিলি করা হয় মাস্ক, স্যানিটাইজার। করোনা পরিস্থিতিতে কেন মিছিল? সেই প্রশ্ন তুলে শাসকদলকে নিশানা করেছে বিজেপি।
হুগলি সংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি ও যুব মোর্চা, সুরেশ সাউ-এর কথায়, কনটেনমেন্ট এলাকায় মিছিল করছে। এক্ষেত্রে প্রশাসনের চোখে পড়ে না, বিজেপি যদি পাঁচজনকে নিয়েও ভোটের প্রচার বা বাইরে বেরোয়, সেক্ষেত্রে করণাবিধি ভাঙার জন্য অ্যারেস্ট হয়।
চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের কথায়, বিজেপি কী বলল সেটা নিয়ে আমরা চলি না।বিজেপি বাংলার রক্ষাকর্তা নয়।বাংলার রক্ষাকর্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস।করোনা নিয়ে যেখানে প্রচার করছি সেখানে আমরাই নিয়ম-নীতি ভাঙবো এটুকু বিদ্যাবুদ্ধি মা-বাবা শিখিয়েছেন। সবমিলিয়ে করোনা-কর্মসূচি নিয়েও রাজনৈতিক তরজার শেষ নেই।
আরও পড়ুন: Kolkata: ধুন্ধুমার কালীঘাট, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ বিজেপি রাজ্য সভাপতির