Howrah News: খাবারে বিষক্রিয়াতেই কি মৃত্যু ? ফ্ল্যাটের মেঝেতে মা ও মেয়ের নিথর দেহ উদ্ধার
Howrah Death Mystery: বন্ধ ফ্লাট থেকে উদ্ধার মা এবং মেয়ের মৃতদেহ। আর এই নিয়ে রহস্য দানা বেধেছে।
সুনীত হালদার, হাওড়া: ফ্ল্যাট থেকে দুজনের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে টিকিয়াপাড়া এলাকার বশিরউদ্দিন মুন্সী লেনে। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে তিনতলার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় মা আয়েশা খাতুন (৫৫) এবং মেয়ে শারজাহা খাতুনের (৩৫)দেহ। মায়ের নিথর দেহ পড়েছিল বিছানায় এবং মেয়ের দেহ পড়েছিল ঘরের মেঝেতে। আজ দুপুরে আয়েশার অন্য এক মেয়ে ফ্ল্যাটে এলে তিনি লক্ষ্য করেন, দুজনেই মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। তাঁরা খবর দেয় হাওড়া থানায়। পুলিশ (Police Investigation) এসে তদন্ত শুরু করে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, আয়েশা খাতুন নামে ওই মহিলার স্বামী রেলের অস্থায়ী কর্মী। তিনি কিছুদিন আগে তাঁকে তালাক দেয়। এরপর থেকে ওই মহিলা একাই থাকতেন। তিন দিন আগে মহিলার চার মেয়ের মধ্যে এক মেয়ে শারজাহা খাতুন আসেন। তিনি মায়ের সঙ্গেই থাকছিলেন। গতকাল রাতে ওই মহিলাকে শেষ বার বাজার করে বাড়ি ফিরতে দেখেন প্রতিবেশীরা। তারপর আর তাঁর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। আজ অন্য এক মেয়ে, মায়ের খোঁজ করতে ফ্ল্যাটে এসে দেখেন দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেশীর আরও জানিয়েছেন, বছর দুয়েক আগে ওই মহিলার ছেলে এবং ছেলের বউ একই ফ্ল্যাটে মারা যান। তবে আজকের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ফ্ল্যাটে ইঁদুরের উৎপাত ছিল। তাই ওই মহিলা বিহারের তার দেশের বাড়ি থেকে ইঁদুর এবং পোকামাকড় মারার ওষুধ এনেছিলেন। সেই ওষুধ খাবারের চারপাশে ছড়ানোর ফলে কোনওভাবে বিষক্রিয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই বিষক্রিয়া থেকে মৃত্যু হয় মা এবং মেয়ের। পুলিশ আরও জানিয়েছে, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে দেহগুলি পোস্টমর্টেমের পাশাপাশি ভিসেরা পরীক্ষা করা হবে। পুলিশ মৃতার পরিবারের লোকজনদেরও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন, যাদবপুরে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যপালের সমালোচনায় ব্রাত্য বসু
জুলাই মাসেও এমনই একটা মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল। কিড স্ট্রিটের হোটেল থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় মা ও মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছিল। দু'জনকে উদ্ধার করে এসএসকেএমে (SSKM) হাসপাতালে নিয়ে গেলে মা-কে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন চিকিৎসকরা (Doctors)। এরপর মাঝরাতে হোটেল থেকে নিউ মার্কেট থানায় খবর গিয়েছিল। পুলিশ গিয়ে মাস্টার কি দিয়ে হোটেলের ঘরের দরজা খুলে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করেছিল। পুলিশের দাবি, ঘর থেকে সুইসাইড নোট মিলেছিল। মা ও মেয়ে দু’জনেই ডিপ্রেসনে ভুগছিলেন, অনুমান পুলিশের। ডিপ্রেশনের (Depression) জেরেই কি মা ও মেয়ের আত্মহত্যার চেষ্টা ? জোরাল হয়েছিল সেই প্রশ্ন। এরপরেই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছিল নিউ মার্কেট থানার তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা।