Congress: ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়কের গাড়িতে ৪৯ লক্ষ টাকা! চলছে অর্থের উৎসের খোঁজ
Congress Money Scam: রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তাহলে এই টাকা কি বিধায়ক-কেনাবেচার টাকা? উদ্ধার হওয়া টাকা কি ক্রস ভোটিংয়ের ভেট?
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, সৌমিত্র রায় ও সুনীত হালদার, এবিপি আনন্দ: হাওড়ার পাঁচলায় টাকার গাড়ি সহ পুলিশের হাতে আটক ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক। গাড়িতে মিলল ৪৯ লক্ষ টাকা। ৪৯ লক্ষ টাকার উৎস কী? কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এই টাকা? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই টাকা কি বিধায়ক-কেনাবেচার টাকা? রাজনৈতিক মহলে উঠছে প্রশ্ন। কলকাতায় বসে ঝাড়খণ্ড সরকার ফেলার বিজেপির ডিলিং হচ্ছিল না তো? প্রশ্ন তৃণমূলের। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি।
কী ঘটেছে?
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জোড়া ফ্ল্যাটে উদ্ধার টাকার পাহাড়। গ্রেফতার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এই ঘটনা ঘিরে যখন রাজ্যজুড়ে শোরগোল, তখনই হাওড়ার পাঁচলায় টাকার গাড়ি সহ পুলিশের হাতে আটক ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক।
প্রেক্ষাপট
কয়েক দিন আগেই নির্বাচিত হয়েছেন দেশের ১৫ তম রাষ্ট্রপতি।ফল ঘোষণা হতেই স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, বিভিন্ন রাজ্য বিধানসভায় ব্যাপক ক্রস ভোটিং হয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ঝাড়খণ্ডে সরকার চালালেও, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা আগেই ঘোষণা করেছিল, তারা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে NDA প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করবে। কিন্তু অনুমান, তাদেরই জোটসঙ্গী কংগ্রেসের ৭ থেকে ১০ জন কংগ্রেস বিধায়ক ক্রস ভোটিং করেছেন। ভোটের পর ঝাড়খণ্ডের এক বিজেপি সাংসদ ফলাও করে দাবিও করেছেন, ক্রস ভোটিং হয়েছে।
আরও পড়ুন, 'টাকার বিনিময়ে বিজেপির কাছে বিক্রি হতে এসেছিলেন’ ঝাড়খণ্ডে বিধায়ক কেনাবেচার ইঙ্গিত দেবাংশুর
রাজনৈতিক বিতর্ক
এই প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তাহলে এই টাকা কি বিধায়ক-কেনাবেচার টাকা? উদ্ধার হওয়া টাকা কি ক্রস ভোটিংয়ের ভেট? এই বিধায়করা কি ক্রস ভোট দিয়েছিলেন? গোপন ব্যালটে ভোট হওয়ায় এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া অসম্ভব। কিন্তু রাজনৈতিক মহলে থেমে নেই জল্পনা।
কলকাতায় বসে ঝাড়খণ্ড সরকার ফেলার বিজেপির ডিলিং হচ্ছিল না তো? প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। এদিকে রাজনৈতিক মহলে যখন তরজা তুঙ্গে। তখন হাওড়া পুলিশ সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের বিধায়করা জানিয়েছেন, কলকাতা থেকে তাঁরা মন্দারমণি যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে ফিরে বড়বাজারে আদিবাসী উত্সবের জন্য শাড়ি কেনার কথা ছিল।
কিন্তু এত টাকা নিয়ে মন্দারমণি কেন যাচ্ছিলেন কংগ্রেস বিধায়করা? স্রেফ শাড়ি কেনার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৪৯ লক্ষ টাকা? ভিন রাজ্যের বিধায়কদের দাবি খতিয়ে দেখছে হাওড়া পুলিশ।