Second Hooghly Bridge News: দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজে চলন্ত বাসে আগুন ! অল্পের জন্য রক্ষা প্রায় ৪০ জন যাত্রীর
Bus Caught Fire: খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। ঘটনাস্থলে আসেন কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক আধিকারিকরাও।

সুনীত হালদার, হাওড়া : দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজে চলন্ত বাসে আগুন। ধর্মতলা থেকে পুরুলিয়াগামী যাত্রীবাহী বাস হুগলি সেতুর মাঝ বরাবর আসতেই চাকা থেকে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। পুরুলিয়াগামী বাসটিতে প্রায় ৪০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন। চলন্ত বাসে আগুন লাগায় আতঙ্কে জানালা টপকে নামার চেষ্টা করায় বেশ কয়েকজন যাত্রী আহতও হন। দমকলের তিনটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। দুর্ঘটনার জেরে দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজের কলকাতা-হাওড়াগামী লেন সাময়িক বন্ধ থাকে। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে দমকল।
বিস্তারিত ঘটনা...
যাত্রীবাহী বাসে আগুন। কলকাতার ধর্মতলা থেকে পুরুলিয়ার উদ্দেশে যাচ্ছিল বাসটি। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর মাঝখানে পৌঁছালে হঠাৎই আগুন লেগে যায় বাসটিতে। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে বাসটি। যাত্রীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। ঘটনাস্থলে আসেন কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক আধিকারিকরাও। আগুন বাসে ছড়িয়ে পড়ার আগেই সব যাত্রীকে নিরাপদে বাস থেকে নামিয়ে দেন কনডাক্টর। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে, বাসে প্রচুর পরিমাণে সামগ্রী ছিল। বাসের ছাদেও প্রচুর মালপত্র লোড করা ছিল। ইঞ্জিন থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুনে সব মালপত্র গ্রাস করে নিয়েছে।
একইরকম ঘটনা আগেও
২০২২ সালের মে মাসে একই রকম ঘটনা ঘটে। চলন্ত বাসে হঠাৎই আগুন লেগে যায়। কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে (Kona Expressway) এক সরকারি বাসে আগুন লেগে যায়। সাঁতরাগাছির (Santragachi) কাছে আমতা থেকে ধর্মতলাগামী একটি সরকারি বাসে আগুন লাগে। আচমকাই সিটের পাশে ধোঁয়া দেখতে পান চালক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের একাংশে প্রায় আধ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয় যান চলাচল।
বর্ধমানের (Burdwan) নবাবহাট মোড়ে জাতীয় সড়কের ওপর চাকা ফেটে যাত্রীবোঝাই বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে ২০২৩ সালে। বরাতজোরে রক্ষা পান যাত্রীরা (Passenger)।
২০২৪ সালে অর্থাৎ গত বছরও একই রকম ঘটনা ঘটে। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ মহাজাতি সদনের সামনে বিরাটি-বিবাদী বাগ রুটের মিনিবাস থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। বিবাদী বাগ থেকে বিরাটির দিকে যাওয়ার পথে, বাসের ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মুহূর্তে গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। যদিও যাত্রীদের কোনও ক্ষতি হয়নি।






















