Howrah News: হাওড়ার কলেজে ইউনিয়ন রুমে র্যাগিংয়ের অভিযোগ, মূল অভিযুক্তর পাশে মন্ত্রী
Howrah News Update: নরসিংহ দত্ত কলেজের ইউনিয়ন রুমে ছাত্রদের র্যাগিংয়ে অভিযোগ সামনে আসার পরে মন্ত্রী অরূপ রায়ের সঙ্গে সৌভিক রায়ের ছবি ভাইরাল হয়।

সুনীত হালদার, হাওড়া: হাওড়ার কলেজে ইউনিয়ন রুমে র্যাগিংয়ের অভিযোগ। আর এবার ঘটনায় মূল অভিযুক্তর পাশে দাঁড়ালেন মন্ত্রী। রীতিমতো ক্লিনচিট দিয়ে নতুন করে তদন্তের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করলেন মন্ত্রী অরূপ রায়।
নরসিংহ দত্ত কলেজের ইউনিয়ন রুমে ছাত্রদের র্যাগিংয়ে অভিযোগ সামনে আসার পরে মন্ত্রী অরূপ রায়ের সঙ্গে সৌভিক রায়ের ছবি ভাইরাল হয়। বিরোধীরা অভিযোগ করে, মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই সৌভিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে না প্রশাসন। হাওড়ার নরসিংহ দত্ত কলেজের ইউনিয়ন রুমে ছাত্রদের র্যাগিংয়ে মূল অভিযুক্ত সেই সৌভিক রায়ের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী অরূপ রায়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি সৌভিক রায়কে কার্যত ক্লিন চিট দিলেন তিনি। মন্ত্রী জানিয়েছেন, দু'বছর আগের ঘটনা, পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। দলীয় তদন্তেও সৌভিক রায়ের কোনও দোষ প্রমাণিত হয়নি। তাই এই বিষয়ে নতুন করে তদন্তের প্রয়োজন নেই বলে দাবি তাঁর। মন্ত্রী সাফ জানান, কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশ আটকানোর দায়িত্ব অধ্যক্ষ এবং পরিচালন সমিতির। সেটা না করতে পারলে দায় তাদের।
পড়ুয়াদের সাহায্য করার নামে আসলে কী হয় কলেজগুলির ইউনিয়ন রুমে? কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল' কলেজের ঘটনার পর, এই প্রশ্নগুলি যখন মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে, তখন একের পর এক ভিডিও সামনে আসতে শুরু করায়, বিতর্ক কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। এই আবহে, ফের বিতর্কে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের সুন্দরবন মহাবিদ্যালয়। বিয়ের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর, এবার ছড়িয়ে পড়েছে বডি মাসাজের এই দৃশ্য। মাটিতে রীতিমতো গদি, চাদর পেতে, বালিশ মাথায় শুয়ে আছেন এক ব্যক্তি। তাঁর পিঠে মাসাজ করছেন আরেক যুবক। অভিযোগ, ভিডিওতে যে ঘর দেখা যাচ্ছে, সেটা কাকদ্বীপের সুন্দরবন মহাবিদ্যালয়ের ইউনিয়ন রুম। সেখানেই বাড়ির মতো গদি পেতে চলছে মালিশ। যিনি ম্যাসাজ দিচ্ছেন তাঁর নাম দেবজ্যোতি পাল। ম্যাসাজ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ওই যুবক। যদিও তাঁর দাবি, তিনি এই কলেজের মাঠে ফুটবল খেলেন। খেলার সময়ে কলেজের এক প্রাক্তন ছাত্র চোট পেয়েছিলেন। তখন তাঁকে মাসাজ করে দিয়েছিলেন। নিজে রাজনীতি না করলেও TMCP-র অনেকেই তাঁর বন্ধু বলে দাবি করেছেন দেবজ্যোতি পাল। বিতর্ক বাড়তেই ব্য়াখ্য়া দিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বিতর্ক বাড়তে থাকায় ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ শুভঙ্কর চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "সত্যি, মিথ্যে আমি নিশ্চয় খোঁজ খবর আরও একটু নেব। একটা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি দরকার হলে গড়ে দেব। তারা যা রিপোর্ট দেবে, সেইভাবে আমরা তখন সিদ্ধান্ত নেব।''






















