Howrah News: 'রাজনীতিতে হিংসা নয় মিষ্টতা বাড়ুক', হাওড়ায় 'অভিনব মিষ্টি', বিক্রি বেশি তৃণমূলের!
Howrah Sweet Sell: ভোটের আগে মিষ্টির দোকানের মালিক তৈরি করেছেন সব দলের কর্মীদের জন্য হরেকরকম মিষ্টি। ওই দোকানে পাওয়া যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের প্রতীকের সন্দেশ।
সুনীত হালদার, হাওড়া: রাজনীতি মানে হিংসা নয়। রাজনীতি মানে মানুষে মানুষে মিষ্টি সম্পর্ক তৈরি। আর এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে হাওড়া ময়দানের কাছে এক মিষ্টির দোকান তৈরি করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীক সম্বলিত সন্দেশ। ভোটের মুখে বিকোচ্ছেও হু হু করে।
গোটা দেশজুড়ে লোকসভা ভোটের দামামা বেজে গেছে। দু-দফা ভোটের পর তৃতীয় দফার ভোটের চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। ব্যতিক্রম নয় হাওড়া। কলকাতার যমজ শহর হাওড়ায় আগামী ২০মে ভোট। কিন্তু তার আগে রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থীরা ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রচার করছেন।
কেউ কেউ বলছেন ভোট মানে গণতন্ত্রের উৎসব। আর বাঙালির কাছে মিষ্টি ছাড়া উৎসব ? ভাবাই যায় না। তাই ভোটের আগে মিষ্টির দোকানের মালিক তৈরি করেছেন সব দলের কর্মীদের জন্য হরেকরকম মিষ্টি। ওই দোকানে পাওয়া যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের প্রতীকের সন্দেশ। প্রতি সন্দেশের দাম ১০০ টাকা। প্রচারের ফাঁকে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এবং কর্মীরা ঢ়ুঁ মারছেন দোকানে। নিজেরা তো সন্দেশ খাচ্ছেনই এবং অন্যান্যদেরও খাওয়াচ্ছেন।
মিষ্টির দোকানের মালিক সৈকত পাল জানিয়েছেন "রাজনীতি মানে হিংসা নয়। মানুষের সম্পর্কের মধ্যে মিষ্টত্ব বাড়াতে এই ধরনের মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে। সব রাজনৈতিক দলেরই পছন্দ মতো মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে। নেতা ও কর্মীরা নিজেরাও খাচ্ছেন এবং অন্যদের খাওয়াচ্ছেন।" তবে মিষ্টির মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের মিষ্টি বেশি বিক্রি হচ্ছে।
হাওড়া সদর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী এবং হাওড়া শহরের প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীকে দলীয় কর্মীদের নিয়ে দেখা গেল দোকানে। তিনি নিজেও পদ্মফুল ছাপের সন্দেশ খেলেন এবং কর্মীদের খাওয়ালেন। তিনি বলেন "বাংলার ঐতিহ্যবাহী সন্দেশের মধ্যে একটি সন্দেশ আছে। এটা সন্দেশখালীর রোদন ভরা সন্দেশ নয়। এই সন্দেশ মানুষে মানুষে সম্পর্ককে মিষ্টি করে। হাওড়ায় মেট্রো রেল সহ একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এখানকার মানুষকে উন্নয়নের বার্তা দিতে চাইছেন। সেদিন খুব দুরে নেই পদ্মফুল মিষ্টি গোটা বাংলায় ছড়িয়ে পড়বে।"
মধ্য হাওড়ার যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক চট্টোপাধ্যায় বলেন "আমাদের দলের সন্দেশের বেশি বিক্রি দেখে বেশ ভালো লাগছে। জোড়া ফুল প্রতীকের সঙ্গে কর্মীদের একটা আবেগের সম্পর্ক আছে। তাই কর্মীরা এখানে এসে মিষ্টি খাচ্ছেন এবং খাওয়াচ্ছেন। ভোট মানে তো উৎসব। তাই এই ধরনের মিষ্টির আলাদা গুরুত্ব আছে দলীয় কর্মীদের কাছে।"
ভোটের আগে শহর নতুন ধরনের রাজনৈতিক মিষ্টিতে মজেছে। এখন দেখার এই মিষ্টি সন্দেশ কি আদৌ ভোটারদের প্রভাবিত করবে?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে