প্রবল বর্ষণে পাঁচিল ভেঙে গুরুতর জখম ব্যক্তি, আতঙ্ক ছড়াচ্ছে হাওড়ার একাধিক বিপজ্জনক বাড়ি
হাওড়া পুরসভা এলাকাজুড়েই এমন প্রচুর জরাজীর্ণ বাড়ি রয়েছে। হাওড়া পুরসভার হিসাব অনুযায়ী যার সংখ্যা প্রায় ৪৫০।
সুনীত হালদার, হাওড়া: দফায় দফায় বর্ষণের জেরে পাঁচিল ভেঙে গুরুতর জখম এক ব্যক্তি। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে সালকিয়ার হরদয়াল সুরেখা লেনে। অমরনাথ দত্ত (৪৫) নামে আহত ব্যক্তিকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগেও বর্ষণের জেরে কিছুদিন আগে সালকিয়ার বাধাঘাট মোড়ের কাছে হুরমুড়িয়ে ভেঙে পড়ে একটি দোতলা জরাজীর্ণ বাড়ি। বর্ষাকালে হাওড়া শহরের বুকে একের পর এক এই ধরনের ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা। তাঁরা চাইছেন হাওড়া পুরসভা থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
হাওড়া পুরসভা এলাকাজুড়েই এমন প্রচুর জরাজীর্ণ বাড়ি রয়েছে। হাওড়া পুরসভার হিসাব অনুযায়ী যার সংখ্যা প্রায় ৪৫০। এই সব পুরনো বাড়ির দেওয়াল বেয়ে উঠেছে বড় বড় গাছ। বেশিরভাগ বাড়ির পলেস্তারা খসে ইট বেরিয়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে পিলার। বিপজ্জনকভাবে রড বেরিয়ে রয়েছে। কোথাও আবার ছাদ ফেটে ঘরে জল পড়ছে। সবমিলিয়ে দুর্বিসহ অবস্থা এই বাড়িগুলোর।
ওই অবস্থাতেই কার্যত প্রাণ হাতে নিয়ে ওই সব বাড়িতে বসবাস করছেন বেশ কিছু বাসিন্দা। তাঁরা জানিয়েছেন, বাড়ির মালিকরা বাড়ি না সারানোর ফলে ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে সেগুলি। যে কোনও মুহূর্তেই বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ হাওড়া পুরসভা থেকেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। কেউই তাঁদের খোঁজ নেয় না বলেও অভিযোগ। হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে বেশ কিছু জীর্ণ বাড়িতে 'বিপদজনক' বাড়ি বলে বোর্ড টাঙ্গানো হলেও অনেক বাড়িতে সেই বোর্ডও নেই বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
অন্যদিকে ঘটনায় এই জরাজীর্ণ বাড়ি পড়ে থাকার কথা স্বীকার করেছেন হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী। তিনি বলেন শহরে প্রায় ৪৫০টি এই ধরনের বাড়ি রয়েছে। জানা গিয়েছে, পুরসভার পক্ষ থেকে বেশ কিছু বাড়িতে বিপজ্জনক বোর্ড টাঙ্গানোর পাশাপাশি মালিকদেরও নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মালিকরা সময় চেয়েছেন বলেই সূত্রের খবর। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাঁরা যদি কোনও ব্যবস্থা না নেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে পুরসভা থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: Kolkata Weather Update : রাতভর তুমুল বৃষ্টিতে জল থৈ থৈ শহর, উত্তর থেকে দক্ষিণের অনেকাংশ জলের তলায়