Jalpaiguri:ধূপগুড়িতে জলঢাকা নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি তোলার অভিযোগ উঠল মাফিয়ার বিরুদ্ধে, প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা
Illegal Sand From Jaldhaka River:ধূপগুড়িতে জলঢাকা নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি তোলার অভিযোগ উঠল মাফিয়ার বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ জানিয়ে ভূমিরক্ষা কমিটির ব্যানারে আন্দোলন শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ধূপগুড়িতে (dhupguri) জলঢাকা নদী (jhaldhaka river) থেকে বেআইনিভাবে বালি (illegal sand) তোলার অভিযোগ উঠল মাফিয়ার (mafia) বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ জানিয়ে ভূমিরক্ষা কমিটির ব্যানারে আন্দোলন শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা (villagers)। পথ অবরোধও করা হয়। অভিযোগ খতিয়ে দেখে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
কী ঘটেছিল?
যেদিকে চোখ যায়, শুধু বালি আর মাটি। এবার অভিযোগ, রাতে সেই বালিই গাড়িতে তুলে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এভাবে নির্বিচারে বালি তুলে নেওয়ায় ভিটে-মাটি হারানোর ভয় পাচ্ছেন জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির দক্ষিণ আলতাগ্রামের বাসিন্দারা।
শীতকালে জলঢাকায় জল নেই। ধূ-ধূ করছে বালি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অন্ধকার নামলেই বাড়ছে বালি মাফিয়ার আনাগোনা। নদী থেকে বেআইনিভাবে চলছে বালি তোলা। পাচারকারীদের বাধা দেওয়ায় স্থানীয়দের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় বলেও অভিযোগ। প্রতিবাদে ভূমিরক্ষা কমিটির ব্য়ানারে আন্দোলন শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার পথ অবরোধও করেন তাঁরা। পুলিশের আশ্বাসে ঘণ্টাদুয়েক পর অবরোধ ওঠে। মমিনুর ইসলাম নামে এক আন্দোলনকারী বলেন, 'জেসিবি নিয়ে বালি তোলার জন্য রাস্তার তৈরির চেষ্টা হচ্ছিল। বাধা দিলে ধস্তাধস্তি হয়। তখন থেকে পাহারায় রয়েছি।' তাঁদের আশঙ্কা, এর পর বালি তুললে সব শেষ হয়ে যাবে। নদীতে তলিয়ে যাবে ৪০০ থেকে ৫০০ পরিবার। গ্রামবাসীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর। সব শুনে ধূপগুড়ির ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক জয়দীপ ঘোষ রায় বলেন, 'খবর পেয়েছি। আইসি সাহেব ফোন করেছিলেন। টিম নিয়ে এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছি।' জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের মতে,
জলঢাকা নদীতে ৪টি সরকারি রিভারবেড রয়েছে। যেখান থেকে বালি তোলা যায়। এক্ষেত্রে অবৈধভাবে বালি তোলা হচ্ছিল কি না, তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত এ রাজ্যে, বালিচুরির অভিযোগ নতুন নয়।
গঙ্গা থেকেও বালিচুরি...
ডিসেম্বরের গোড়াতেও পানিহাটি-উত্তরপাড়ার মাঝখানে গঙ্গা থেকে দিনে-দুপুরে বালি চুরির অভিযোগ উঠেছিল। মাঝ নদীতে নৌকা দাঁড় করিয়ে তোলা হচ্ছে বালি। সেই বালি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কামারহাটিতে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলা ঘাটে বালি নামানোর কাজ চলছে নিয়মিত। সেই ছবি ধরা পড়ে এবিপি আনন্দর ক্যামেরায়। উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভার শ্রীরামপুরের মহকুমা শাসকের কাছে বালি চুরির অভিযোগ করে। পোর্ট ট্রাস্ট, সেচ দফতর ও ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরকে বিষয়টি জানানো হয়। জানানো হয় ব্যারাকপুর ও চন্দননগর কমিশনারেটেও । তদন্তও শুরু হয়।
আরও পড়ুন:রাজ্যে কোভিড টেস্ট বাড়ল অনেকটাই, ভ্যাকসিন পেলেন কত জন ?