Shantanu Sen: IMA-র অ্যাকাউন্টে রহস্যজনক দেড় কোটির লেনদেনের অভিযোগ,শান্তনু-কাকলি সহ ৪ চিকিৎসককে চিঠি
অভিযোগ, IMA-র প্যান ব্যবহার করে তৈরি করা হয় জিমাকন-কলকাতার একটি অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্ট তৈরি করেই এই বিরাট অঙ্কের লেনদেন করা হয়।

কলকাতা : আবার বিতর্কে শান্তনু সেন। আবার তিনি প্রশ্নের মুখে। আইএমএ’র অ্যাকাউন্টে একটি রহস্যজনক লেনদেন নিয়ে চিঠি দেওয়া হল শান্তনু সেন, কাকলি সেন- সহ আরও দুই চিকিৎসককে। অভিযোগ IMA এর জার্নাল JIMA-র অ্যাকাউন্টে দেড় কোটির লেনদেন হয়েছে ! আর সেই দেড় কোটির অ্যাকাউন্টের কোনও উল্লেখই নেই নথিতে। সেই অভিযোগ ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিতর্কে জড়ালো শান্তনু সেন,কাকলি সেন সহ আরও দুই চিকিৎসকের নাম। লেনদেন সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে চেয়ে এই চার জনকে চিঠি দেওয়া হেছে আইএমএ-র তরফে। আইএমএ সূত্রে খবর, যে সময়ে ই অভিযোগ উঠেছে, সেই সময় দেড় কোটিরওবেশি টাকার রহস্যজনক লেনদেন হয়েছিল। এই সময়কালে অ্যাকাউন্টের দায়িত্বে ছিলেন শান্তনু-সহ চার চিকিৎসক। তাঁদেরকেই IMA চিঠি দিয়েছে।
বিরাট অঙ্কের লেনদেনের শান্তনুকেই কেন চিঠি ?
অভিযোগ, IMA-র প্যান ব্যবহার করে তৈরি করা হয় জিমাকন-কলকাতার একটি অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্ট তৈরি করেই এই বিরাট অঙ্কের লেনদেন করা হয়। জার্নাল অফ ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন 'জিমাকন'এর এই লেনদেন সম্পর্কে কোথাও কোনও তথ্য নথিভুক্ত করা হয়নি বলেই অভিযোগ। এই বিষয়ে IMA-র দিল্লির কার্যালয়ে অভিযোগ করেন যুগ্ম অর্থ সচিব জ্যোতির্ময় পাল। এরপর এই লেনদেন নিয়ে ৪ চিকিৎককে চিঠি পাঠিয়েছেন IMA-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
দেড় কোটির লেনদেনের উৎস কী?
২০১৫-২০১৮ সালের মধ্যে ১ কোটি ৫৩ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকার লেনদেন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ৩ বছর এই অ্যাকাউন্টের দায়িত্বে ছিলেন শান্তনু সেন-সহ ৪ চিকিৎসক। রহস্যজনক এই দেড় কোটির লেনদেনের উৎস কী? এই বিষয় IMA-র তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেবে সোমবার। IMA বেঙ্গলের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে।
কী বলছেন শান্তনু নিজে ?
এদিকে বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ শান্তনু সেন। তিনি জানিয়েছেন, যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি বলছেন অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জানেন না। অথচ ২০২০ থেকে ২০২২, ই ৩ বছর তিনি বিভিন্ন পদে জিমাকনে ছিলেন। শান্তনু বলেন, তাঁকে ডাকা হয়েছিল। তিনি গিয়েওছিলেন। যা বলার বলেছেন।
এর আগে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ-চিকিৎসক শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে ‘বিদেশি ডিগ্রি’ দেখিয়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের অভিযোগ তোলা হয়। লেটারহেডে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের ‘স্বীকৃতিহীন ডিগ্রি‘ লিখে বিতর্কে জড়ান শান্তনু সেন। তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ-চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। এমনকী শান্তনু সেনের ডাক্তারির রেজিস্ট্রেশন ২ বছরের জন্য সাসপেন্ডও করে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্দেশ খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর তাঁর রেজিস্ট্রেশন সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হয়।






















