Darjeeling News: বার্ধক্যেও কোল আলো করে এল সন্তান, ফুটফুটে শাবকের জন্ম দিল তুষার চিতা জিমা, হাতের কাছে দার্জিলিংয়েই
Snow Leopard: দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নায়ডু জুলজিক্যাল পার্কে জন্ম হয়েছে শাবক তুষার চিতাটি। দীর্ঘদিন সেখানে রয়েছে তুষার চিতা জিমা।
মোহন প্রসাদ, দার্জিলিং: মধ্যপ্রদেশের অরণ্যে একের পর এক চিতার মৃত্যু ঘিরে চলছে কাটাছেঁড়া। বন্য়প্রাণ সংরক্ষণের ব্যবস্থাপনা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। সেই আবহে পশ্চিমবঙ্গে থেকে সুখবর সামনে এল। কারণ দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানায় এবার জন্ম নিল ফুটফুটে তুষার চিতা (Snow Leopard)। আরও যে কারণে উল্লেখযোগ্য এই ঘটনা, তা হল, একেবারে বার্ধক্যে পৌঁছে শাবকের জন্ম দিল মা তুষার চিতাটি। (Darjeeling News)
সাধারণত তুষার চিতার আয়ুকালই হয় ১০ থেকে ১৩ বছর, বার্ধক্যে পৌঁছেই শাবকের জন্ম দিল জিমা
দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নায়ডু জুলজিক্যাল পার্কে জন্ম হয়েছে শাবক তুষার চিতাটি। দীর্ঘদিন সেখানে রয়েছে তুষার চিতা জিমা। নয় নয় ১৩ বছর বয়স হয়েছে তার। সাধারণত তুষার চিতার আয়ুকালই হয় ১০ থেকে ১৩ বছর। চিড়িখানায় থাকলে কিছুটা হেরফের হয় তাতে। কিন্তু এই বয়সে পৌঁছে তুষার চিতার শাবকের জন্ম নেওয়ার ঘটনা বিরল।
এমনকি ১৩ বছর বয়সি কোনও তুষার চিতা শাবকের জন্ম দিয়েছে এবং তার পর বহাল তবিয়তে ঘুরেও বেড়াচ্ছে বলে মনে করতে পারছেন না চিড়িয়াখানার আধিকারিকরাও। দার্জিলিংয়েই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল বলে দাবি তাঁদের। জিমা এবং তার সন্তান, দু'জনেই সুস্থ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত উদ্বেগের কিছুও ধরা পড়েনি।
পদ্মজা নায়ডু জুলজিক্যাল পার্কেের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গত ২৮ জুলাই শাবকের জন্ম দেয় তুষার চিতা জিমা। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও সন্তানের জন্ম দিয়েছে জিমা। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত আট থেকে ১০টি শাবকের জন্ম দিয়েছে সে। এবার একেবারে জীবনসায়াহ্নে পৌঁছে জন্ম দিল সন্তানের।
শাবকের জন্মের পর পরই মৃত্যু হয় মা তুষার চিতার, জিমা সেই নিরিখে ব্যতিক্রমী
দার্জিলিং চিড়িয়াখানার পশু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ১৩ বা ১৬ বছর বয়সে স্ত্রী তুষার চিতা শাবকের জন্ম দেয় না, এমনটা একেবারেই নয়। কিছু ক্ষেত্রে ১৬ বছর বয়সেও শাবকের জন্ম দেওয়ার নজির রয়েছে। কিন্তু শাবকের জন্মের পর পরই মৃত্যু হয় মা তুষার চিতাটির। কিন্তু জিমা-র ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটেনি। সে নিজেও সুস্থ রয়েছে, সুস্থ রয়েছে তার সন্তানও। তাই তুষার শাবকের জন্মকে গুরুত্ব দিয়েই দেখছেন সকলে।