Jhargram News: টানা বৃষ্টি ঝাড়গ্রামে, জামবনিতে সাঁকো উপচে ভোগান্তি সাধারণ মানুষের
Flood In Jhargram: গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে ঝাড়গ্রামে। তোড় দেখে প্রমাদ গুণছিলেন স্থানীয়রা। আশঙ্কাই সত্যি হল। ডুলুং নদীর জলস্তর এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে জামবনি ও চিল্কিগড়ের মাঝের সাঁকোটুকুও জল থৈ থৈ।
অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে ঝাড়গ্রামে (jhargram)। তোড় দেখে প্রমাদ গুণছিলেন স্থানীয়রা। আশঙ্কাই সত্যি হল। তুমুল বৃষ্টিতে (rain) ডুলুং (dulung) নদীর জলস্তর (water level) এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে জামবনি ও চিল্কিগড়ের মাঝের সাঁকোটুকুও (bamboo bridge) জল থৈ থৈ। ফল? আমবাসিন্দাদের বড় অংশের ভোগান্তি চরমে।
কী পরিস্থিতি?
আমলিয়া, জামবনি, চিল্কিগড়, মুড়া-সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের অবশ্য বক্তব্য, এই নরকযন্ত্রণা নতুন নয়। প্রতি বছরই বৃষ্টির দিনে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুধু আশ্বাসটুকুই জোটে। কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ কিছু হয় না। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ডুলুং নদীতে হড়পা বান এলে গিধনি প্রান্তের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টি গ্রামের মানুষকে বহু ঘুরে জামবনি থানা ও ঝাড়গ্রাম মহকুমা সদরে পৌঁছতে হয়। সবটা মিলিয়ে চূড়ান্ত দুর্ভোগ। সাধারণ মানুষ থেকে যানচালকদের প্রত্যেকে হয়রানির শিকার। জলস্তর বেডে় সাঁকো উপচে যাওয়ায় ঝাড়গ্রামের সঙ্গে জামবনি ব্লকের মূল কেন্দ্র গিধনীর যোগাযোগটুকুও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অনেকটা যেমন এখন। এই মুহূর্তে প্রায় ৫০-৬০টি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন।
ঝাড়গ্রামের আবহাওয়া...
দিন তিনেক আগে থেকেই অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে ঝাড়গ্রামে। তার জেরে ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত জনজীবন। শহরের একাধিক রাস্তা জলমগ্ন। তবে শ্রাবণ শেষের এই বৃষ্টি কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। জমিতে জল জমায় চাষের পক্ষে অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে বলে তাঁদের আশা। কিন্তু বর্ষণের জেরে দুর্ভোগ চরমে বাকিদের। গত বছরও কার্যত এক ছবি দেখা গিয়েছিল এই জেলায়। টানা বৃষ্টিতে সে বারও জামবনি ব্লকের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। একাধিক জায়গায় জল জমে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ডুলুং নদীর জল বাড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল সে বারও। শোনা গিয়েছিল, শহরের নিকাশি ব্যবস্থা পুরোপুরি ঠিক না থাকায় জল জমছে বলে। বৃষ্টি না কমলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা ছিল স্থানীয়দের। সব মিলিয়ে ভোগান্তি কিছু কম হয়নি। কিন্তু তার পর?
বছর গড়ালেও দেখা গেল ছবিটা বদলায়নি। কবে দুর্ভোগ কাটবে বাসিন্দাদের? কবে তাঁদের আবেদনে সাড়া দেবে প্রশাসন? এখনও উত্তর মেলেনি। ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন:পা-পিঠের ব্যথা থেকে কীভাবে মুক্তি, জেলে গিয়ে পার্থকে ব্যায়াম শেখালেন SSKM-র চিকিৎসকরা