Hooghly News: হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভায় ফের অচলাবস্থা, বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন
Hooghly-Chinsurah Municipality: দু মাসের বকেয়া বেতন পাননি বলে গতকাল পুরসভার অধিকাংশ জায়গায় স্ট্রিট লাইট বন্ধ করে প্রতিবাদ অস্থায়ী ইলেকট্রিক ডিপার্টমেন্টের কর্মী। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, চুঁচুড়া: ফের অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে হুগলি-চুঁচড়া পুরসভায় (Hooghly-Chinsurah Municipality)। সোমবার পুরসভার অস্থায়ী ইলেকট্রিক ডিপার্টমেন্টের কর্মচারীরা তাঁদের বিগত দু মাসের বেতন দাবি নিয়ে পুরসভায় পুর প্রধানের কাছে আশ্বাস না পেয়ে শহরের অধিকাংশ জায়গায় স্ট্রিট লাইট বন্ধ করে প্রতিবাদ করে। আজ সেই প্রতিবাদ শেষ হতে না হতেই শুরু হয় হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভায় অস্থায়ী শতাধিক মহিলা স্বাস্থ্য কর্মচারীদের বিক্ষোভ (Agitation)।
তাঁরা পুর প্রধান কক্ষের সামনে এবং পুরপ্রধান কক্ষের ভেতরে তাঁদের দু-মাস অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও বেতন না মেলায় আজ তিন মাসে পড়া তাঁদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যায়। তাই সকল অস্থায়ী মহিলা স্বাস্থ্য কর্মচারীরা পুরপ্রধান কক্ষে সামনে এবং ভিতরে প্রবেশ করে তাঁদের বকেয়া বেতনের দাবি জানাতে থাকেন। পুর প্রধানের সামনেই চলে বিক্ষোভ। এখনও অব্যাহত রয়েছে তাঁদের বিক্ষোভ-আন্দোলন।
এ বিষয় নিয়ে হুগলি-চুঁচুড়া পৌরসভার অস্থায়ী কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্য অসীম অধিকারী জানান, হুগলি চুঁচুড়া-পুরসভা বর্তমানে আন্দোলনের পিঠস্থান হয়ে গেছে। প্রত্যেক দপ্তরের অস্থায়ী কর্মচারীরা তাঁদের দুমাস এবং তিন মাস বেতন সহ বোনাসেরর দাবি নিয়ে প্রত্যেক মাসেই পুরসভায় আন্দোলন করেন। তারপরই তাঁদের বেতন পেতে হয়। এইভাবে প্রতিনিয়ত আন্দোলন করে আগামী দিনে চলা যায় না। বিগত পুর কর্তৃপক্ষ করোনার মহামারির সময় আমাদের বেতন নিয়ে এমন টালবাহানা করেননি। কিন্তু, বর্তমান পৌর প্রশাসক অস্থায়ী কর্মচারীদের পাশে না দাঁড়চ্ছেন না।এদিকে দীর্ঘদিন এই কাজ করেও বেতন না পাওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে আসছেন কর্মীরা। এটার একটি সুষ্ঠু সমাধান আগামী দিনের জন্য দরকার।
এ প্রসঙ্গে হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার তৃণমূল পরিচালিত শ্রমিক সংগঠনের পক্ষে জানানো হয়, বকেয়া বেতন না হওয়া পর্যন্ত দিনের বেলা রক্ষণাবেক্ষণ ও রাতে আলো জ্বালানোর কাজ বন্ধ থাকবে। ফলে শহর অন্ধকারই থাকবে। এদিকে পুরসভার সিআইসি জয়দেব অধিকারী বলেন, ‘জরুরি পরিষেবা বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছে। পুরসভা আয় বাড়াতে না পারলে বেতন সমস্যা মিটবে না।’
অন্যদিকে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘পুরকর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না সেটা আমাকে জানাননি কেন? বেতন দেওয়া যাচ্ছে না সেটা চেয়ারম্যানও জানাননি। তবে জরুরি পরিষেবা চালু রাখা প্রয়োজন।’
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Maa Flyover: শহরে চিনা মাঞ্জার ফাঁদ, মা উড়ালপুলে আহত হলেন বাইক আরোহী