SSC Case: চাকরি হারিয়ে 'মানসিক চাপে ছিলেন', স্বাধীনতা দিবসের সকালে SSC-র চাকরিহারা শিক্ষকের মৃত্যু !
SSC Job Less Teacher Death: এসএসসির চাকরিহারা শিক্ষক সুবল সোরেনের মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক

কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: এবার মানসিক চাপে চাকরিহারা শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ। এসএসসির চাকরিহারা শিক্ষকের মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক। আরএন টেগোর হাসপাতালে পশ্চিম মেদিনীপুরের সুবল সোরেনের মৃত্যু । চাকরি হারিয়ে মানসিক চাপে ছিলেন ওই শিক্ষক, দাবি মৃতের স্ত্রীর। আরএন টেগোর হাসপাতালে আজ সকালে মৃত্যু। বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন চাকরিহারা শিক্ষক। আজ সকালে স্ট্রোকে মৃত্যু হয় সুবল সোরেনের।
চাকরি গেছে!সম্মান গেছে! এবার প্রাণটাও গেল! তীব্র মানসিক চাপে পড়ে SSC-র এক চাকরিহারা শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। শুক্রবার সকালে আর এন টেগোর হাসপাতালে মৃত্যু হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা সুবল সোরেনের। আপনার কি মনে হয় চাকরি যাওয়ার জন্যই এই স্ট্রোক এবং মৃত্যু? প্রশ্নের উত্তরে মৃত সুবল সোরেনের স্ত্রী বলেন, ওই চাকরি চলে যাওয়ার জন্যই স্ট্রোক। আমার স্বামী চলে গেছে। মৃত্যু হয়ে গেছে। আমার স্বামী তো যোগ্য শিক্ষক। কেন ..? ন্যায় বিচার চাই।
দুর্নীতির অভিযোগে গত তেসরা এপ্রিল হাইকোর্টের SSC-র ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। সেই চাকরিহারা শিক্ষকদের মধ্যেই রয়েছেন সুবল সোরেন। পরিবারের দাবি, চাকরি বাতিলের পর থেকেই তীব্র মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন সুবল সোরেন। সংসার কী করে চলবে? পরিবারের সদস্যদের মুখে ভাত তুলে দেবেন কী করে? বাচ্চা মেয়েটার কী হবে? এই চিন্তা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল চাকরিহারা এই শিক্ষককে। এরইমধ্যে তাঁর শরীর ধীরে ধীরে খারাপ হতে শুরু করে। একসময় স্ট্রোক হয়।
সোমবার সুবল সোরেনকে মুকুন্দপুরের আর এন টেগোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে দাবি, শুক্রবার সকালে স্ট্রোক হয় সুবল সোরেনের। তারপর আর শেষরক্ষা হয়নি! মৃত চাকরিহারা শিক্ষকের স্ত্রী , অনেক চিন্তা করত যে কী হবে না হবে! চাকরি নিয়ে সবসময় চিন্তা করত। চাকরি তো চলেই গেছে। অগাস্ট মাসে যে রিভিউ পিটিশন ছিল, বলেছিল যে কোনওকিছু একটা হবে। দিয়ে যখন কিছুই হল না, আবার অনেক ভেঙে পড়ল। হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ল। বেশি চাপ নিতে পারল না। টেনশন আমি বেশি নিতে পারছি না।'
চাকরিহারা আন্দোলনকারী শিক্ষিকা বলেন, সুবল দা-র স্ট্রোক হয়ে গেছে। ডেবরা হাসপাতাল বলেছে এখানে রাখা যাবে না। তাকে কলকাতায় রেফার করতে হবে। আর এন টেগোরে যে স্যরকে বলেছিলাম উনি রাজি হয়েছেন। চাকরি তো হারিয়েইছে। প্রাণে যেন মানুষটা বাঁচে, আমরা এটাই চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটাও শেষরক্ষা হল না।'শুরু থেকেই নিজেকে যোগ্য বলে দাবি করে চাকরি ফেরতের শিক্ষকদের আন্দোলনে সামিল ছিলেন। বিকাশভবনের সামনে শিক্ষকদের রাতভর অবস্থানেও ছিলেন এই সুবল সোরেন। এই ঘটনা সামনে আসার পরই হাসপাতালে ভিড় জমান আন্দোলনকারী চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকেই। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।
চাকরিহারা আন্দোলনকারী শিক্ষক বলেন, তেসরা আমাদের ডেথ সার্টিফিকেট সেদিনই হয়ে গেছে। এখন পরপর সার্টিফিকেট গুলো নেওয়ার পালা। আমরা কোনও প্রতিবাদ করতে গেলে ৭ ফুটের ব্যারিকেড আর পুলিশের ডান্ডা। এই আমাদের প্রাপ্য। স্বাধীন দেশে পরাধীন করে রেখেছে যোগ্য শিক্ষকদের। এর দায়ভার কে নেবে? এই মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে। বিচারব্যবস্থাকে নিতে হবে।'






















