Jadavpur University: কলেজে ভর্তির ব্যতিক্রমী ছবি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, কোন ফর্মুলায় সম্ভব হল?
Kolkata News: উচ্চমাধ্যমিকের ফল বেরনোর ৩ মাস পরও, রাজ্যের ৪৫০-র বেশি কলেজে শুরুই হয়নি ভর্তির প্রক্রিয়া।

কলকাতা: OBC- জটের কারণে, উচ্চমাধ্যমিকের ফল বেরনোর ৩ মাস পর, এখনও ৩৫০-র বেশি কলেজে শুরু হয়নি ভর্তির প্রক্রিয়া। এই পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রমী ছবি ধরা পড়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে সায়েন্স ও আর্টসে ভর্তি শেষ হয়ে, ক্লাসও চালু হয়ে গেছে। কীভাবে তা সম্ভব হল?
OBC-দের জন্য ৭, নাকি ১৭ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে? এই জট এখনও কাটেনি। হাইকোর্ট হয়ে মামলার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। যে কারণে, উচ্চমাধ্যমিকের ফল বেরনোর ৩ মাস পরও, রাজ্যের ৪৫০-র বেশি কলেজে শুরুই হয়নি ভর্তির প্রক্রিয়া। প্রবল অনিশ্চয়তার মুখে লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া। সন্তানদের ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরাও। অথচ এমন এক পরিস্থিতির মধ্যেই ব্যতিক্রমী ছবি ধরা পড়েছে দেশের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে সায়েন্স ও আর্টসে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে, ক্লাসও শুরু হয়ে গেছে। যাকে কার্যত 'মডেল' বলা যেতে পারে। কিন্তু কোন ফর্মুলায় এটা সম্ভব হল? ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু না করতে পারলেও, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সায়েন্স এবং আর্টসে ৭ শতাংশ রিজার্ভেশন রেখেও, ৯০ শতাংশ আসনে ক্লাস শুরু করে দিয়েছে।
গত জুন মাসে স্নাতক স্তরে ভর্তির কেন্দ্রীয় পোর্টালের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তার পরপরই OBC মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খায় রাজ্য সরকার। ১৪০টি জনগোষ্ঠী ও ১৭ শতাংশ সংরক্ষণ নিয়ে রাজ্য় সরকারের সেই বিজ্ঞপ্তিতে অন্তবর্তী স্থদিতাদেশ দেয়, বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। অন্যদিকে ১৯ জুন, সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায়, কলকাতা পুরসভার আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ বলেন, কোনও নিয়োগ, কোনও ভর্তি অযথা বন্ধ রাখার প্রয়োজন নেই। ডিভিশন বেঞ্চ তার নির্দেশে, স্পষ্ট করে বলেছে যে, ৬৬টি সম্প্রদায়কে নিয়ে এবং ৭ শতাংশ সংরক্ষণ নীতি মেনে কাজ করুন।
এই প্রেক্ষাপটেই ২০১০ সালের আগের নিয়ম অনুযায়ী OBC-দের জন্য ৭ শতাংশ সংরক্ষণ রেখে, ৯০ শতাংশ আসনে সায়েন্স ও আর্টস বিভাগে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করে দেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমনকী, ৪ অগাস্ট থেকে সায়েন্স এবং ১১ অগাস্ট থেকে আর্টস বিভাগের ক্লাসও শুরু হয়ে গেছে। তবে জয়েন্টের রেজাল্ট না বেরনোয়, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। বিশ্ববিদ্য়ালয়ের রেজিস্ট্রার ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা ৭ শতাংশ রেখে ৯০ শতাংশ আসনে ভর্তি নিয়েছি, আদালত নির্দেশ দিলে সেই মতো বাকি ১০ শতাংশ ভরাট করব।''
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়াও, রাজ্যের কেন্দ্রীয় অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে হয় না। অথচ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যা পেরেছে, প্রেসিডেন্সির পক্ষে তা সম্ভব হয়নি। কারণ, তাদের প্রবেশিকার দায়িত্বে থাকে জয়েন্ট এন্ট্রার্স বোর্ড। কিন্তু OBC জটের কারণে প্রবেশিকার ফল বেরোয়নি। এই প্রেক্ষাপটে জয়েন্ট এন্ট্রার্স বোর্ডের অধীনে থাকতে না চেয়ে উপাচার্যকে চিঠি লিখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একাংশ। অধ্যাপকের উপল চক্রবর্তী বলেন, "যাদবপুর করেছে সায়েন্টিফিক ভাবে। আমরা পারিনি কারণ প্রেসিডেন্সির রেজাল্ট জয়েন্ট , আমরা উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছি, যাতে এন্ট্রান্স জয়েন্ট এন্ট্রান্স না নেয়।''






















