Jadavpur University: ছাত্রমৃত্যুর তদন্তে উঠে এল আরও কিছু নাম, যোগাযোগের প্রক্রিয়া শুরু পুলিশের
JU Case Update: ছাত্র মৃত্যুর নেপথ্যে জঘন্যতম র্যাগিং-এর অভিযোগ। ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরই বর্তমান ও প্রাক্তনী মিলিয়ে ১৩ জন পড়ুয়া।
কলকাতা: যাদবপুরে (Jadavpur University) ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ধৃতদের জেরা করে উঠে এল ১১ জনের নাম। ওইদিন তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ধৃত জয়দীপ ঘোষ। খবর পুলিশ সূত্রে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাদেরও বয়ান নিতে চায় পুলিশ।
আজ থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বভার নিতে চলেছেন নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। গতকাল ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ে যান তিনি। ঘুরে দেখেন ক্যাম্পাস। পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় যে গাফিলতি ছিল, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না, তা গতকালই স্পষ্ট করে দেন নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য। যদিও সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে তাঁর নিয়োগ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
কখনও বলা হয়েছে, সমকামী নয়, তার প্রমাণ দিতে। কোনও সিনিয়রের নামের পাশে অশালীন মন্তব্য় লিখে চিৎকার করে করে পড়ানো হয়েছে। কখনও সিনয়ররা বলেছে, লুকিয়ে তুলে আনতে হবে সহপাঠিনীদের ছবি। পুলিশ সূত্রে দাবি, যাদবপুরে নদিয়ার মফঃস্বল এলাকা থেকে কলকাতার পাঁচতারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা হতভাগ্য় ছাত্রের ওপর এভাবেই চলেছিল সিনিয়রদের চরম অত্য়াচার। এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ, নদিয়ার বাসিন্দা ওই পড়ুয়াকে জোর করে চুল ছাঁটতে বাধ্য় করা হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, ৬ অগাস্ট হস্টেলে যাওয়ার পরই ছাত্রকে ছোট ছোট করে চুল কেটে ফেলার নির্দেশ দেয় সিনিয়ররা। চাপের মুখে ছোট করে চুল ছাঁটতে বাধ্য় হয় সে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত্য়ুর আগে ও পরে, দু'দফায় ষড়যন্ত্র হয়। জিবি মিটিংয়ের পাশাপাশি, অপরাধ ঢাকতে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও করা হয়েছে। তিনতলা থেকে নীচে যে জায়গায় ছাত্র পড়ে যান, সেই জায়গা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয় জিবি মিটিংয়ে। পুলিশ সূত্রে দাবি, সেই নির্দেশ দিয়েছিল ধৃত যাদবপুরের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী। সূত্রের খবর, ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে, ৯ অগাস্ট রাতে, পড়ুয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই তথ্য়প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়।রাত ১১ টা ৪৫ নাগাদ পড়ে তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে যায় ছাত্রটি। ঠিক ১০ মিনিট পর, ১১ টা ৫৫-তে জিবি মিটিং ডেকেছিল প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী। প্রথম বর্ষের পড়ুয়া যেখানে পড়েছিল, সেই জায়গা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয় জিবি মিটিংয়েই। সেই কারণেই পুলিশকে হস্টেলের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, পড়ুয়া পড়ে যাওয়ার পরই, জিবি মিটিং ডেকে রীতিমতো ক্লাস নিয়েছিল প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী। পুলিশকে কী বলতে হবে, তা একেবাড়ে পাখি পড়ানোর মতো করে বলে দেওয়া হয়। বলে, সবার বক্তব্য এক না হলে, পুলিশি হেনস্থার মুখে পড়তে হবে। মিটিংয়েই শিখিয়ে দেওয়া হয় পুলিশকে কী বলতে হবে। আর সেখানে শেখানো বুলিই পরে পুলিশের কাছে আউড়ে গিয়েছেন আবাসিকরা। যা সবই কিনা এখন তদন্তকারীদের আতসকাঁচের তলায়।
আরও পড়ুন: WB Dengue: বাড়ছে উদ্বেগ, রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছুঁইছুঁই