Jalpaiguri News: সাংসারিক অশান্তিতে খুনোখুনি! বাবার মারে মেয়ের মৃত্যুর অভিযোগ, চাঞ্চল্য ধূপগুড়িতে
Dhupguri News: মেয়েটির পরিবারের সদস্য এবং এলাকাবাসীদের অভিযোগ, সকাল থেকেই ওই বাড়িতে তুমুল অশান্তি চলছিল।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: বাবার হাতে মার খেয়ে মৃত্যু তরুণী মেয়ের! ধূপগুড়িতে এমনই অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বাইরের কেউ নন, মেয়েটির ভাই-ই বাবাকে কাঠগড়ায় তুলেছে। তার দাবি, প্রায়শই মা এবং দিদিকে মারধর করতেন বাবা। বাবার হাতেই দিদির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তার (Death)। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ (Jalpaiguri News)।
বাবার মারে মৃত্যু মেয়ের!
ধূপগুড়ির (Dhupguri News) মল্লিকশোভার এলাকার ঘটনা। অভিযুক্তের নাম নিরঞ্জন পাল। তাঁর মেয়ে তথা মৃত তরুণীর নাম ললিতা পাল। বয়স ১৮-র আশেপাশে। বৃহস্পতিবার বাড়িতে অশান্তি চলছিল। সেই সময়ই বাবার মারে মেয়েটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে দাবি তার ভাইয়ের। তবে মেয়েটিকে কী ভাবে মারা হয়ে থাকতে পারে, তা এখনও স্পষ্ট নয় (Domestic Violence)।
মেয়েটির পরিবারের সদস্য এবং এলাকাবাসীদের অভিযোগ, সকাল থেকেই ওই বাড়িতে তুমুল অশান্তি চলছিল। নিরঞ্জন এবং তাঁর স্ত্রীর মধ্যেই প্রথমে ঝগড়া চলছে বলে শোনা যায়। পরে মেয়ের সঙ্গেও নিরঞ্জনকে চেঁচামেচি করতে শুনতে পান সকলের।
ঠিক কী নিয়ে অশান্তি চলছি, তা যদিও পরিষ্কার নয়। তবে সন্ধে নাগাদ প্রবল কান্না শুনে বাড়ির ভিতরে ছুটে যায় নিরঞ্জনের ছেলে সুব্রত। সঙ্গে ছিল তার কাকিমা। সুব্রত জানিয়েছে, ঘরে ঢুকে ললিতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সে। চিৎকার-চেঁচামেচিতে এর পর ছুটে আসেন আশেপাশের লোকজনও। একটি টোটো ডেকে কোনও রকমে ললিতাকে তুলে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন স্থানীয়দের কয়েক জন। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ললিতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকত পরিবারে!
সুব্রত জানিয়েছে, বাড়িতে প্রায়শই ঝগড়া লেগে থাকত। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেও অশান্তি বাঁধে। কারণ বিনা কারণে তার মাকে মারধর করে বাবা। সুব্রত জানিয়েছে, মায়ের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করত ললিতা। তার জন্য তাকেও শাস্তি পেতে হত। সে জানিয়েছে, কান্না শুনে সন্ধেয় যখন ঘরে ঢোকে সে, তখন তার দিদির অবস্থা প্রায় শেষ। তবে ঝামেলার সময় বাড়িতে ছিল না সে, তাই কী দিয়ে মারা হয়ে থাকতে পারে, সে জানে না বলে দাবি করেছে সুব্রত। ঘটনার পর থেকে পলাতক নিরঞ্জন। ধূপগুড়ি থানার পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।