Mohammad Manik: হড়পা বানে প্রাণ বাঁচানো মানিক ফেরালেন আবাস যোজনার ঘর
Awas Yojana: গত বছর দুর্গাপুজোর দশমীর দিন জলপাইগুড়ির মালবাজারে বিধ্বংসী হড়পা বান নামে। তাতে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল আট জনের। মানুষ জনকে নদীতে ভেসে যেতে দেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মানিক।
রাজা চট্টোপাধ্য়ায়, জলপাইগুড়ি: নিজের জীবন বাজি রেখে হড়পা বানের মুখ থেকে প্রাণ বাঁঁচিয়েছিলেন অনেকের। সাহসিকতার পুরস্কারবাবদ সিভিকের চাকরি নিতে রাজি হননি। স্থায়ী সরকারি চাকরি চেয়েছিলেন সরাসরি। তার জেরে উঠে এসেছিলেন খবরের শিরোনামে। আরও একবার আলোচনার কেন্দ্রে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri News) সেই মহম্মদ মানিক (Mohammad Manik)। এ বার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর ফিরিয়ে দিলেন তিনি।
আরও একবার আলোচনার কেন্দ্রে জলপাইগুড়ির সেই মহম্মদ মানিক
গত বছর দুর্গাপুজোর দশমীর দিন জলপাইগুড়ির মালবাজারে বিধ্বংসী হড়পা বান নামে। তাতে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল আট জনের। প্রতিমা বিসর্জনে গেলে এই বিপর্যয় ঘটে যায়। সে দিন ঘটনাস্থলে ছিলেন মানিকও। মানুষ জনকে নদীতে ভেসে যেতে দেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তিনি। নিজের জীবন বাজি রেখে মৃত্যুর মুখ থেকে টেনে তুলেছিলেন অনেককে।
মানিকের সেই কীর্তি ছড়িয়ে পড়েছিল মুখে মুখে। রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকে সাহসিকতার পুরস্কারও দেওয়া হয়। নগদ টাকার পাশাপাশি সিভিকের চাকরির পাবেন বলে জানানো হয়। সেদিনও সরাসরি নিজের মনের কথা তুলে ধরেছিলেন মানিক। জানিয়েছিলেন, সিভিক নয়, পাকা সরকারি চাকরি চান তিনি।
এ বার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পাওয়া নিয়েও নিজের অবস্থানেই অনড় থাকলেন মানিক। স্বেচ্ছায় আবাস যোজনার ঘর ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। মানিক জানিয়েছেন, ২০২৮ সাল থেকে বাড়ির জন্য আবেদন করে এলেও, এই মুহূর্তে বাড়ির প্রয়োজন নেই তাঁর। বাড়ি আছে তাঁর। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর বরাদ্দ নিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় গোটা বাংলা। ভূরি ভূরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে। দোতলা-তিন তলা পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও অনেকে আবাস যোজনার আওতায় তালিকায় নাম তুলেছেন বলে অভিযোগ উঠছে। কোথাও প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা-নেত্রী, তো কোথাও আবার বিজেপি-র নেতা-কর্মীদের নামও তালিকায় পাওয়া গিয়েছে। সেই নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজাও চরমে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পাওয়া নিয়েও নিজের অবস্থানেই অনড় মানিক
সেই আবহেই ফের স্রোতের বিপরীতেই হাঁটলেন মানিক। তিনি বলেন, "২০১৮ সালে বাড়ির জন্য আবেদন করেছিলাম ঠিকই। কিন্তু এখন আমার থাকার মতো ঘর রয়েছে। এই মুহূর্তে ঘরের প্রয়োজন নেই। তাই ফিরিয়ে দিলাম।" প্রশাসনের তরফে মানিকের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। মালবাজারের ভিডিও শুভজিৎ দাশগুপ্ত বলেন, "মানিকের এই কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছি আমকা। খুবই ভাল কাজ করেছেন ওই যুবক।"