(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Jalpaiguri News: শীতের আগেই ভিড় করেছে 'অতিথি! কূজনে ঘুম ভাঙে পান্ডাপাড়ার
Migratory Birds in WB: দূষণমুক্ত জলাজমি এবং পর্যাপ্ত খাবারের জোগান, এই দুটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পরিযায়ী পাখিদের আবাস ও প্রজননস্থল গড়ে ওঠার জন্য। তাই জলাভূমি বাঁচিয়ে রাখার বার্তা জেলার পরিবেশপ্রেমীদের।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: শীত এলেই একটু অন্যরকম হয়ে যায় জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) পান্ডাপাড়া। সকালটা বিশেষ করে অন্যরকম মনে হয়। কারণ চোখ খোলার আগেই পান্ডাপাড়ার বাসিন্দাদের কানে আসে চেনা-অচেনা নানা ডাক। পাখির ডাকেই ঘুম ভাঙে। রাস্তায় বেরোলেই চোখে পড়ে রং-বেরংয়ের নানা পাখি। কারও ঠোঁটের বাহার চোখে পড়ে, কারও আবার পালকে রঙের ছটা।
অনেকেই চেহারা বা ডাক ঠাহর করতে পারলেও নাম জানেন না। শীত আসার আগেই এই অতিথিদের (Migratory birds) দেখতে পাওয়া যায় জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়ার বিলে। এবারও অন্যথা হয়নি। দক্ষিণ পান্ডাপাড়ার এই বিলে এবার প্রায় ৮-১০ হাজার পাখি এসেছে। তারমধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই পরিযায়ী পাখি বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। এক বিশেষ ধরনের শঙ্খচিলের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া এবং শীত প্রধান অঞ্চল থেকে প্রচুর অতিথি এসেছে এই বিলে। এদের বিজ্ঞানসন্মত নাম অনেকে বলতে না পারলেও এলাকার মানুষ তাদের চিহ্নিত করছেন কানিবক, গোবগা, গলিন্দা সহ নানা নামে।
জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং (Darjeeling) জেলার ই-বার্ড রিজিওনাল রিভিউয়ার তথা বার্ড ওয়াচার (Bird Watcher) শান্তনভ মজুমদারের কথায়, 'শহরের পান্ডাপাড়ায় দ্বারিকা প্রসাদ জলাভূমির নাম হয়তো অনেকেই জানেন না, কিন্তু যদি বলা হয়, ইটভাটার জলা (water body), তাহলে অনেকেই চিনবেন। এই জলাভূমিতে প্রায় ১০৬ রকম প্রজাতির জলাভূমির পাখি থাকে, কেউ কেউ পরিযায়ী।' গাজলডোবার মত এখানেও টাফ্টেড ডাক (Tufted duck), ফেরুজিনিয়াস পোচার্ড, ইস্টার্ন স্পট বিল্ড ডাক (eastern spot billed duck), গ্রে হেডেড ল্যাপউইং (grey headed lapwing) এমনকি ফ্যাল্কেটেড ডাকের (Falcated duck) মত পরিযায়ী হাঁস শীতকালে উড়ে আসে বহুদূর থেকে সরাল বা লেসার হুইসলিং ডাক (Lesser whistling duck)-এর মত স্থানীয় পাখি হাজার হাজারে ভিড় জমায়। পক্ষী বিশেষজ্ঞরা বলেন, পাখি আসার মূল কারণ খাদ্যের সহজলভ্যতা, প্রতিকূল পরিবেশের মোকাবিলা আর বংশবৃদ্ধি। তাই এই জলাভূমিকে দূষণমুক্ত রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন শান্তনভ মজুমদার।
পরিযায়ী পাখির এই বিল বেছে নেওয়ার কারণ সম্পর্কে পরিবেশবিদ বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, 'ওখানে আগে একটি ইটভাটা ছিল যা এখন বন্ধ। সেখানে জল জমে অনেকটা বিলের আকার নিয়েছে। জায়গাটা নিরিবিলি থাকায় ওখানে ওরা এসে ডেরা জমায়, মানুষের আসা-যাওয়া কম থাকায় সমস্যা হয় না।' বিষয়টি নিয়ে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও। পাখি দেখতে, পাখির ছবি তুলতে ভিড় জমান বহু উৎসাহী। শীতের এই সময়টা চেনা পান্ডাপাড়া কিছুটা হলেও আরও সুন্দর হয়ে ওঠে, বলছেন স্থানীয়রা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: আরও পড়ুন: 'যাঁকে টিভির পর্দায় টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, সেই বেশি চিল্লাচ্ছে', কটাক্ষ অভিষেকের