Jaynagar Incident: ১০ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ, ঝাঁটাপেটা পুলিশকে, ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ, ধুন্ধুমার জয়নগরে
South 24 Parganas News: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জয়নগর থানা থেকে বিশাল পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
জয়নগর: ১০ বছরের বালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে জয়নগরের মহিষমারি এলাকায় ধুন্ধুমার। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। ঝাঁটাহাতে পুলিশকে ধাওয়া থেকে, পুলিশকে ঝাঁটাপেটা করার দৃশ্যও ধরা পড়ল সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণভয়ে লুকিয়ে পড়েন পুলিশ কর্মীরা, ফিরতে হয় RAF-কেও। বিরাট পুলিশ বাহিনী পৌঁছেছে এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জয়নগর থানা থেকে বিশাল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। (Jaynagar Incident)
নিহত বালিকার পরিবারের দাবি, কুলতলির বাসিন্দা, মেয়েটি গতকাল জয়নগরে টিউশন পড়তে গিয়েছিল। রাতেও সে বাড়ি না ফেরায় জয়নগর থানার দ্বারস্থ হন পরিবারের লোকজন। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি বলে দাবি পরিবারের। এর পর, রাতে বালিকার বাড়ির কাছে একটি জলাজমি থেকে দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়েটির দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ছাত্রী খুনে জড়িতসন্দেহে জয়নগরের বাসিন্দা এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। (South 24 Parganas News)
শনিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে জয়নগরের মহিষমারি এলাকা। ঝাঁটা, লাঠি হাতে নিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে চড়াও হন স্থানীয় মানুষজন। পুলিশক লাঠিপেটা, ঝাঁটাপেটা করতেও দেখা যায় অনেককে। থানায় ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। বাইরে থেকে ইঁট ছুড়ে ভাঙা হয় জানলার কাচ। দেওয়াল থেকে খুলে ঝুলতে দেখা যায় পুলিশ ফাঁড়ির সাইনবোর্ডটিকে। এর পর পুলিশ ফাঁড়িত আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়, তাতে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রে আগুন ধরে যায়। থানার বাইরে আগুন ধরানো হয় সাইকেলে। পুলিশ আধিকারিকদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয়রা। লাঠি, বাঁশ উঁচিয়ে এক পুলিশকর্মীকে ধাওয়াও করা হয়। বারুইপুর থানার এসডিপিও-র দিকেও লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যান অনেকে। RAF নামানো হলেও, মারমুখী জনতাকে দেখে পিছু হটে তারা।
এমন পরিস্থিতিতে আশাপাশের থানা থেকেও বিরাট পুলিশ বাহিনী পৌঁছেছে। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। কিন্তু গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। একদিকে, আরজি কর কাণ্ডের আঁচ এখনও অনুভূত হচ্ছে। সেই আবহেও পুলিশ তৎপর হল না কেন উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ প্রথমেই সক্রিয় হলে মেয়েটিকে বাঁচানো সম্ভব হতো বলে মনে করছেন স্থানীয় মানুষজন। পরিস্থিতি যাতে আরও উত্তপ্ত না হয়ে ওঠে, আপাতত সেই চেষ্টাই করছে পুলিশ। তবে এই মুহূর্তে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। গতকাল রাতেও জয়নগর থানার আইসি এবং স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গে স্থানীয়দের ধাক্কাধাক্কি হয় বলে খবর। পুলিশ এবং প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।