Jhalda Murder Update: কাউন্সিলর তপন কান্দুকে খুনের প্রতিবাদ, আজ বনধের ডাক কংগ্রেসের
Jhalda Murder Update :ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে খুনের প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। ঘটনায় নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের ভাইপো দীপক কান্দু ও তাঁর বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।
সন্দীপ সমাদ্দার, ঝালদা: দলীয় কাউন্সিলরকে খুনের প্রতিবাদে আজ কংগ্রেসের ডাকা বনধে সর্বাত্মক সাড়া দেখা গেল পুরুলিয়ার ঝালদায় (Jhalda)। দোকানপাট, বাজার বন্ধ। গাড়ি ঘোড়া চলছে না। বাস চলাচলও বন্ধ। আজ সকালে কংগ্রেস (Congress) কর্মীরা ঝালদা শহরে প্রতিবাদ মিছিল করেন। পুরুলিয়ার অন্যত্রও বনধের মোটামুটি প্রভাব পড়েছে।
৪ বারের কাউন্সিলর। একবার পুরসভার চেয়ারম্যান। এবার তৃণমূল ঝড়ের মধ্যেও সস্ত্রীক কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী। বোর্ড গঠনের ঠিক আগে, খুন করা হল, ঝালদার সেই কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে। তপন কান্দুকে খুনের প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। ঘটনায় নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের ভাইপো দীপক কান্দু ও তাঁর বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। দীপক তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়ে পরাজিত হন।
রবিবার পুরুলিয়া শহরে দলের বৈঠক সেরে ঝালদায় ফেরেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। বিকেলে রাস্তায় কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে রাস্তায় হাঁটছিলেন তিনি। বাড়ির অদূরে চেনা রাস্তা। সঙ্গে সহযোগীরা। ভাবতেও পারেননি কী অপেক্ষা করে রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আচমকাই উল্টোদিক থেকে এসে দাঁড়ায় একটা বাইক, যাতে তিনজন বসেছিলেন। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর মাথায় গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।
সম্প্রতি রাজ্যজুড়ে একশো আট পুরসভার ভোটে তৃণমূল বিরাট জয় পেলেও, ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের প্রতীকে জেতেন তপন কান্দু। তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুও কংগ্রেসের হয়ে জেতেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডে।এরপর থেকেই তপন কান্দুকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “পুলিশ যখন বলল তৃণমূলে যোগ দাও, তপন বলল শহিদ হয়ে যাব, তাও যোগ দেব না। তপন কান্দুকে দেখে শিখব, জীবন পরোয়া না করে লড়াই করা যায়। তপন কান্দুকে মেরে কংগ্রেসকে শেষ করা যাবে না।’’
ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় রবিবার রাতে, মৃতের দাদা ও ভাইপোকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ভাইপো দীপক পুরভোটে তপন কান্দুর বিরুদ্ধেই তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। কাকা-ভাইপোর ভোটের লড়াই তখন জমে উঠেছিল।শেষ অবধি কংগ্রেস প্রার্থী কাকার কাছে হেরে যান তৃণমূল প্রার্থী ভাইপো।আর ভোটে জেতার পর গুলি করে খুন করা হল কংগ্রেস কাউন্সিলরকে।
আরও পড়ুন: Panihati Murder Update: পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনে আটক আরও ৩