Elephant Attack Death: দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দলমার দাঁতালের দল, হাতির হানায় ঝাড়গ্রামে মৃত্যু মহিলার
Jhargram News: দলমা থেকে আসা আরও ২০-২৫টি হাতির দল গতকাল মাঝরাতে সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে গোপীবল্লভপুরে ঢোকে।

অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দলমার দাঁতালের দল। নয়াগ্রামে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে বছর পঁয়তাল্লিশের এক মহিলার। মৃতের নাম জলেশ্বরী সিং। নয়াগ্রাম থানার কাঁথি গ্রামের বাসিন্দা। এদিন ভোর বেলায় হাতির হামলায় মৃত্যু হয় ওই মহিলার।
ঝাড়গ্রাম জেলায় হাতির হানা অব্যাহত। হাতির তাণ্ডবে নাজেহাল নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুরের ২, সাকরাইল, ঝাড়গ্রাম ব্লকের বাসিন্দারা। নয়াগ্রামে ২০টি হাতির দল আগে থেকেই রয়েছে। দলমা থেকে আসা আরও ২০-২৫টি হাতির দল গতকাল মাঝরাতে সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে গোপীবল্লভপুরে ঢোকে। পেটবিন্ধি, বাঘুয়াশোল, মালাই, খারবান্দি, বড় আসানবনি এলাকায় তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সবজি ও ধান জমিতে ঢুকে ফসল নষ্ট করায় মাথায় হাত চাষিদের। এই ব্লক গুলিতে কৃষকরা ধান সবজি চাষের উপর নির্ভরশীল। আর এভাবে ধান ও সবজি চাষের ক্ষতির কারণে সমস্যায় কৃষকরা। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, হাতির তাণ্ডবের কথা জানানোর পরেও বন দফতরের দেখা মেলেনি। চাষিদের অভিযোগ, ক্ষতিপূরণের আবেদন করেও বছরের পর বছর মেলে না। বন দফতরের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
এর আগে এলিফ্যান্ট ডিটেকশন সিস্টেম এর ট্রায়াল রান চলাকালীন হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয় রেলের ঠিকাদারি সংস্থার অফিসারের। আলিপুরদুয়ারের রাজাভাতখাওয়া স্টেশনের কাছে মর্মান্তিক এই ঘটনায় মৃত্যু হল সেনাবাহিনীর প্রাক্তন কর্নেল, বছর পঞ্চান্নর সন্দীপ চৌধুরীর। গত ৬ মার্চ বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ইস্ট দমনপুর রেঞ্জে চলছিল এলিফ্যান্ট ডিটেকশন সিস্টেম এর ট্রায়াল রান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার সহ রেলের অন্যান্য আধিকারিক। এই ট্রায়ালের জন্য বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে আনা হয়েছিল 'জোনাকি' নামে কুনকি হাতিটিকে। সেই সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিল ট্য়ুরিস্ট এক্সপ্রেস । তখনই ঘটে যায় এই মর্মান্তিক ঘটনা। ঠিকাদার সংস্থার অফিসার সন্দীপ চৌধুরীকে আচমকাই পিষে দেয় কুনকি হাতিটি। দুর্ঘটনার পর তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে। সেখানে সন্দীপ চৌধুরীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে ফের লোকালয়ে বাঘের আতঙ্ক। দেউলবাড়ি গ্রামের পাশে মাতলা নদীর বাঁধের কাছে বাঘের পায়ের ছাপ মিলেছে বলে গ্রামবাসীদের দাবি। আতঙ্কে ঘুমহীন রাত কাটিয়েছেন তাঁরা। গতকালই খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা পৌঁছে যান দেউলবাড়ি গ্রামে। রয়েছে কুলতলি থানার পুলিশও। পুলিশের তরফে মাইকে প্রচার চলছে। আজ সকাল থেকে গ্রাম লাগোয়া জঙ্গল জাল দিয়ে ঘেরার কাজ শুরু করেছে বন দফতর। বাঘের অবস্থান চিহ্নিতকরণের চেষ্টা চলছে। কয়েকদিন আগে বাঘের ভয়ে ঘুম উড়েছিল কুলতলির মৈপীঠ-বৈকুণ্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নগেনাবাদের বাসিন্দাদের। এবার কুলতলির দেউলবাড়ি গ্রামে বাঘের আতঙ্ক।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
