Jhargram - Bankura : ফুঁসছে নদী, ভাসছে সেতু, রাস্তায় জল, আতঙ্কে ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়াবাসী
এদিন সকাল থেকে বন্ধ যান চলাচল। ঝাড়গ্রাম শহর থেকে জামবনি ব্লকের একাংশ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
পূর্ণেন্দু সিংহ ও অমিতাভ রথ, অমিত জানা : রবিবার থেকে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ঝাড়গ্রামও। টানা বৃষ্টিতে, জল বেড়েছে ডুলুং ও সুবর্ণরেখায়। চিল্কিগড়ের কাছে ব্রিজের উপর দিয়ে বইছে ডুলুং। ঝাড়গ্রাম থেকে বাঁকুড়া যাওয়ার রাস্তায়, শিলদার কাছে রাস্তার ওপর দিয়ে বইছে তারাফেনি নদীর জল। তার ফলে, এদিন সকাল থেকে বন্ধ যান চলাচল। ঝাড়গ্রাম শহর থেকে জামবনি ব্লকের একাংশ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ. একটু বৃষ্টি হলেই প্রত্যেক বছর এরকম পরিস্থিতি হয়, কোনও সমাধান হয়নি এতদিনেও ''টানা বৃষ্টির জেরে ভাসছে জামবনি, ঝাড়গ্রাম, নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুরের বিঘের পর বিঘে চাষজমি। দুর্যোগের ধাক্কায় আমন ধান ও সবজি চাষের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন :
টানা বৃষ্টির জের, পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে জলযন্ত্রণা, বিপর্যস্ত জনজীবন
অন্যদিকে, নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ফুঁসছে শিলাবতী। নদীর জলে সেতু প্লাবিত হওয়ায়, বাঁকুড়া থেকে সিমলাপালের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জঙ্গলমহলের আরেক জেলা ঝাড়গ্রামের একাধিক জায়গায় জমা জলে বাড়ছে দুর্ভোগ। কেউ অপেক্ষা করছেন, কখন জল নামবে! কেউ ঝুঁকি নিয়ে, কাঁধে সাইকেল নিয়ে পেরোচ্ছেন ব্রিজ। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে দুর্ভোগের এই ছবি বাঁকুড়ার সিমলাপালে। বুধবার সকালে, শিলাবতীর জলে ভেসে যায় সেতু। জল বাড়তে থাকায় বন্ধ হয়ে যায় বাঁকুড়া-সিমলাপাল বাস চলাচল। সমস্যায় পড়েছেন সিমলাপালের বাসিন্দারা। টানা বৃষ্টি হলেই, কেন বারবার এই পরিস্থিতি হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ' যানবাহন বন্ধ হওয়া মানে সমস্যা, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে, একটু গভীর পা পড়লে বিপদে পড়ে যাব, একজন মানুষ মারাও গেছে'
অন্যদিকে আবার কোথাও সেতুর ওপর দিয়ে বইছে নদীর জল। কোথাও, হাসপাতাল চত্বর জল থৈ থৈ। কোথাও আবার জলের তোড়ে ডুবেছে গাড়ি। টানা বৃষ্টিতে, পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে শুধুই জলযন্ত্রণার ছবি। এরইমধ্যে, খড়গপুর লোকাল থানার, পশ্চিম পাতরি গ্রামে, দুর্যোগের জেরে ভেঙে পড়ে একটি মাটির বাড়ি। দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় এক যুবকের। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে জল জমে যায় ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে।
জমা জলে দুর্ভোগে পড়েন রোগীর আত্মীয়রা। ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানেও জল ঢুকে যায়। বৃষ্টিতে, মঙ্গলবার থেকেই জলমগ্ন খড়গপুর শহরের কৌশল্যা মোড়-সহ বিভিন্ন এলাকা। একাধিক বাড়িতে জল ঢুকে যায়। জলের তলায় খড়গপুর স্টেশনে রেললাইনের একাংশ। IIT বাইপাসে উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি। জল জমে যায় মেদিনীপুর পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে। এরই মধ্যে জমা জলে, মাছ ধরায় মেতে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের পোক্তা পোলের কাছে, কেলেঘাই নদীর জলে, ডুবে যায়, জাতীয় সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক গাড়ি। জলমগ্ন হয়ে পড়ে নারায়ণগড় ব্লকের ১২-১৩টি গ্রাম। বাড়িতে জল উঠে যাওয়ায়, জাতীয় সড়কের ওপর আশ্রয় নেন অসহায় গ্রামবাসীরা।