(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Jhargram News: ঝাড়গ্রামে শুঁড়ে তুলে আছাড়, মৃত্যু প্রৌঢ়ার, হাতির হানা মেদিনীপুর সদর ব্লকেও
Jhargram Elephant Attack News: স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, প্রতি দিনের মত ইচ্ছামতী দেবী রবিবার সকালে বাড়ি লাগোয়া বনাঞ্চলে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় জঙ্গলের হাতির সামনে পড়ে যান ওই মহিলা।
অমিতাভ রথ, অলোক সাঁতরা, ঝাড়গ্রাম ও মেদিনীপুর: সাতসকালে প্রতিদিনের মতোই বাড়ির সংলগ্ন জঙ্গলে গিয়ে হাতির হানায় (Elephant Attack) মৃত্যু (Death) হল ঝাড়গ্রামের (Jhargram) নয়াগ্ৰামের এক প্রৌঢ় মহিলার (Woman)। ঘটনাটি নয়াগ্ৰাম ব্লকের বড়খাকড়ি অঞ্চলের রামচন্দ্রপুর গ্রামের।মৃত মহিলার নাম ইচ্ছামতী বেরা। তাঁর বয়স ৬৫ বছর। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, প্রতি দিনের মত ইচ্ছামতী দেবী রবিবার সকালে বাড়ি লাগোয়া বনাঞ্চলে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় জঙ্গলের হাতির সামনে পড়ে যান ওই মহিলা। সঙ্গে সঙ্গে ওই হাতিটি শুঁড়ে জড়িয়ে আছাড় দিয়ে মেরে ফেলে ইচ্ছামতী বেরাকে। গ্রামের একজন দরিদ্র পরিবারের মহিলা হাতির হানায় মারা যাওয়ায় রামচন্দ্রপুর এলাকায় যেমন শোকের ছায়া নেমে এসেছে, সের কম দিনের পর দিন হাতির হানা হওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে তীব্র আতঙ্ক। পাশাপাশি নয়াগ্ৰামের বনাঞ্চলে নিয়মিত হাতির আনাগোনা সত্ত্বেও বন দফতর উদাসীন বলে অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়রা দাবি তুলছেন, মৃতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করুক বন দফতর।
এরইমধ্যে, ফের হাতির হানা মেদিনীপুর সদর ব্লকে। রবিবার ভোরে ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া এলাকা থেকে শাবকসহ ২০ থেকে ২৫ টি হাতির একটি পাল প্রবেশ করে মেদিনীপুর বনবিভাগের চাঁদড়া রেঞ্জ এলাকায়। হাতির পালটি রাজ্য সড়ক পার করে মনিদহ হয়ে প্রথমে ঢুকে পড়ে পলাশিয়া এলাকায়। এরপর এলাকাবাসীদের তাড়া খেয়ে হাতির পালটি প্রবেশ করে চাঁদড়ার জঙ্গলে। হাতির গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে বনদফতরের তরফে। তবে জঙ্গলপথে প্রত্যেককেই সাবধানে যাতায়াত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বনবিভাগের আধিকারিকরা। হাতির পালের আনাগোনায় নতুন করে চাষজমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের।
এদিকে, সুন্দরবনে বাঘের হানায় মৃত্যু হল এক মৎস্যজীবীর।রবিবার, সুন্দরবনের ঝিলার জঙ্গলে মাছ ধরতে যান ৩ মৎস্যজীবী। স্থানীয় সূত্রে খবর, মুড়াগাছা খালের কাছে মৎস্যজীবী অরবিন্দ বিশ্বাসের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি বাঘ। প্রায় ২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে যায় তাঁকে। সঙ্গীরা গ্রামে এসে দলবল নিয়ে গেলে অরবিন্দ বিশ্বাসকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। বন দফতর সূত্রে খবর, যাঁরা মাছ ধরতে গেছিলেন তাঁদের বৈধ কাগজপত্র ছিল না। তাছাড়া ঝিলার জঙ্গলে আপাতত মাছধরা নিষিদ্ধ ছিল।