RG Kar Update: আলোয় মোড়া শহরেই 'দ্রোহের বড়দিন', আন্দোলনে সরব ধর্মতলা
RG Kar Protest: ধর্মতলায় এদিন জুনিয়র চিকিৎসক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষেরাও জড়ো হয়েছিলেন। প্রত্যেকেই সেখানে হাতে হাত দিয়ে পালন করেছেন দ্রোহের বড়দিন।
কলকাতা: গোটা কলকাতা সেজে উঠেছে আলোর মালায়। উৎসবের আলো। ঝলমল করছে পার্ক স্ট্রিট, বো-ব্যারাক থেকে শুরু করে সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল ও অন্যান্য চার্চগুলিও। কিন্তু এই উৎসবের আলোর মধ্যে, ধর্মতলার ছবিটা একেবারে আলাদা। সেখানেও আলো জ্বলছে বটে, তবে মশাল। দ্রোহের মশাল। আরজি কর কাণ্ডের পরে কেটে গিয়েছে মাসের পর মাস। এখনও অধরা বিচার। আর তারই প্রতিবাদে আজ ধর্মতলায় জমায়েত হয়েছিলেন অভয়া মঞ্চের সদস্যরা ও চিকিৎসকেরা। হাতে হাত দিয়ে প্রত্যেকেই পালন করলেন দ্রোহের বড়দিন। মোমবাতি হাতে মানববন্ধনও করেন তাঁরা। স্লোগানে স্লোগানে ভরে ওঠা ধর্মতলা যেন অন্য এক বড়দিনের কথা বলে। ঢিল ছোড়া দূরত্বে থাকা পার্ক স্ট্রিট আর ধর্মতলার ছবিটার মধ্যে যেন এদিন কোনও মিলই নেই। মানুষ যখন উৎসবে সামিল হতে পার্ক স্ট্রিটে যাচ্ছেন, তখন ধর্মতলায় এক অন্য ছবি।
ধর্মতলায় এদিন জুনিয়র চিকিৎসক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষেরাও জড়ো হয়েছিলেন। প্রত্যেকেই সেখানে হাতে হাত দিয়ে পালন করেছেন দ্রোহের বড়দিন। ধর্মতলায় জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে মশাল। অভয়া মঞ্চের সদস্যরা জানাচ্ছেন, বিচার না মেলা অবধি এই মশাল যাতে জ্বলতে থাকে, সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। চিকিৎসক তমোনাশ চৌধুরী বলছেন, 'আজকে ২৪ ডিসেম্বর, অনেকেই উৎসব উৎযাপনে মোমবাতি জ্বালান। কিন্তু আমরা তো প্রতিবাদে আছি। তাই আমরা কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান করছি না। কিন্তু আমরা আজ এই দ্রোহের আলো জ্বালিয়ে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিতে চাই। যে ক্ষোভ আমাদের মধ্যে জ্বলছে সেটা আমরা রাস্তায় উগরে দিতে চাই। অভয়ার মায়ের চোখ থেকে যে জল বেরিয়েছিল, সেই জল আগুন। সেই আগুন আমরা সবার মধ্যে জ্বালিয়ে দিতে চাই।' প্রতিবাদের মধ্যেই দিয়েই বড়দিন পালন করছেন অভয়া মঞ্চের সদস্যরা, সাধারণ মানুষ ও জুনিয়র চিকিৎসকেরা।
অন্যদিকে, আর জি করকাণ্ডে নিহত চিকিৎসকের পরিবারের মামলায় এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করলেন না বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। 'এই মামলা ডিভিশন বেঞ্চ এবং সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন আছে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নজরদারি করছে। এই মুহূর্তে তাঁর পক্ষে এই মামলা গ্রহণ করা সম্ভব নয়', বললেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। 'আপনারা প্রধান বিচারপতির কাছে যান। তিনি যদি আমাকে এই মামলা শুনতে বলেন তাহলে আমি শুনব। তার আগে আমার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়', চিকিৎসকের পরিবারকে বললেন বিচারপতি। বিচারবিভাগীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়, জানালেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। ১৫ জানুয়ারি এই মামলায় পরবর্তী শুনানির সম্ভবনা।