RG Kar News: CBI-এর চার্জশিট নিয়ে মারাত্মক প্রশ্ন তুলে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা ! 'এও জানা যাচ্ছে যে...'
CBI Investigation: চার্জশিট ধরে ধরে যে যে জিনিসের উল্লেখ নেই, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
কলকাতা : আরজি কর-কাণ্ডের ৮৩ দিন পার। এখন অধরা বিচার। এই পরিস্থিতিতে ফের CBI-এর চার্জশিট নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। চার্জশিট ধরে ধরে যে যে জিনিসের উল্লেখ নেই, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে দেবাশিস হালদার সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি বলেন, "সৎকারের কাজে পুলিশের এত দ্রুততার কারণ কী ? কে নির্দেশ দিয়েছিল ? কার নির্দেশে মৃতদেহ সৎকারের সময় বাড়ির লোকেদের সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি ? চার্জশিট অনুযায়ী, সঞ্জয় রায় ভোর ৩টে ২০ মিনিট নাগাদ আরজি কর হাসপাতালে ঢোকে। তারপর ট্রমা কেয়ার বিল্ডিংয়ে যায় ৩টে 34 মিনিটে। বেরিয়ে আসে ৩টে ৩৬ মিনিটে। এরপর এমার্জেন্স বিল্ডিংয়ের ফোর্থ ফ্লোরে সে যায়। সময় দেওয়া নেই। ৪টে ৩ মিনিটে থার্ড ফ্লোরে চেস্ট মেডিসির ওয়ার্ডের সিসি টিভিতে তাকে দেখা যায়। এর মাঝে প্রায় আধ ঘণ্টা সময় সে কি ফোর্থ ফ্লোরে ছিল ? ফোর্থ ফ্লোরে সে ঠিক কী করছিল ? সঞ্জয় রায়ের শরীরে আঘাতের চিহ্নগুলো নির্যাতিতার প্রতিরোধের কারণেই হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। নির্যাতিতার নখের যে নমুনা নেওয়া হয়েছিল পরীক্ষার জন্য, তাতে কি সঞ্জয় রায়ের টিস্যু পাওয়া গিয়েছে ? উল্লেখ নেই চার্জশিটে। কেন ? সঞ্জয় রায়ের ব্লুটুথ এয়ারফোনের উপর ভিত্তি করে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। চার্জশিটে চেস্ট মেডিসিন সিসি টিভিতে সঞ্জয় রায়ের গতিবিধির বর্ণনা দেওয়া আছে। ৪টে ৩ মিনিট নাগাদ গলায় ব্লুটুথ এয়ারফোন গলায় সঞ্জয় ক্যামেরার ডান দিক থেকে ওয়ার্ডের দিকে যায়। ৪টে ৩২-এ সে ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে যায়। তখন তার গলায় এয়ারফোন ছিল না। এরমধ্যে একবার ৪টে ৩১ মিনিটে ওয়ার্ড থেকে তাকে ক্যামেরার দিকে যেতে দেখা যায়। আবার সে ওয়ার্ডে ফিরে য়ায়। লক্ষণীয়ভাবে, এই সময় তার গলায় এয়ারফোন ছিল কি ছিল না, চার্জশিটে তার উল্লেখ নেই। কেন ? সাদা গাঢ় তরলের উল্লেখ কেন নেই চার্জশিটে তার জবাব আমরা চাই।"
তাঁদের আরও বক্তব্য, অভয়ার ধর্ষণ-খুন, প্রমাণ লোপাট ও তার সঙ্গে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির মামলা দু'টি শিয়ালদা কোর্টে বিচারাধীন আমরা জানি। অথচ এই মামলা চলার পর্যায়ে সিবিআই একাধিকবার অভিযুক্তেদর আদালেত হাজির করায়নি। একাধিকবার সিবিআই এর আইনজীবী সময়ে আদালেত উপস্থিত হননি। এমনকী এও জানা যাচ্ছে যে, দুর্নীতির মামলাটিতে সন্দীপ ঘোষ এবং অন্য অভিযুক্তদের জেরা করার প্রক্রিয়াও এগোয়নি। গত ২১ অক্টোবেরর শুনানিতেও সিবিআই অভিযুক্তদের আদালেত পেশ করেনি। স্বাভািবকভাবে এর ফলে মামলাগুিল দুর্বল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। অভিযুক্তদের জামিন পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে। আমরা প্রশ্ন তুলছি, সিবিআইয়ের এই ধরনের দায়সারা পদক্ষেপ কেন ? দোষীেদর চিহ্নিতকরণ ও দ্রুত বিচারের প্রক্রিয়াতে দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থার এহেন ভূমিকা আমােদর উদ্বিগ্ন করেছ। RG Kar News