Group D Job: ১০০ OMR শিট CBI-কে দিতে নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
Abhijit Gangopadhyay: ১০০ ওএমআর শিট সিবিআইকে দিতে নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ১০০ ওএমআর শিটে ভুয়ো সুপারিশ কিনা যাচাইয়ের নির্দেশও দেন তিনি।
কলকাতা: গ্রুপ ডি (Group D) কর্মী নিয়োগে প্রতিটি ধাপেই ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, তা সে মূল প্যানেল হোক কিংবা ওয়েটিং লিস্ট। সোমবার গ্রুপ D নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt) দাবি করেছিলেন, CBI-এর বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান অশ্বিন শেনভি।
এই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সিবিআই এর কাছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhayay) জানতে চাইলেন, গ্রুপ ডি নিয়োগে ভুয়ো সুপারিশ কত? প্রসঙ্গত, এখনও অবধি গ্রুপ C, গ্রুপ D, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি মিলিয়ে প্রায় ২১ হাজার পদে দুর্নীতির তথ্য সামনে এসেছে। বিকৃত করা হয়েছে ৯ হাজার OMR শিট, এমনটাও জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার, CBI কলকাতা হাইকোর্টে জানায়, এখনও পর্যন্ত গ্রুপ D-র ২ হাজার ৮২৩টি OMR শিটে কারচুপি হয়েছে। এই ২ হাজার ৮২৩টি OMR শিটের মধ্যে ১০০টি OMR শিটকে নমুনা হিসেবে পরীক্ষা নিরীক্ষা হবে। এরপর ১০০ ওএমআর শিট সিবিআইকে দিতে নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ১০০ ওএমআর শিটে ভুয়ো সুপারিশ কিনা যাচাইয়ের নির্দেশও দেন তিনি।
আরও পড়ুন, 'ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব', প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, এ বিষয়ে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবে এসএসসি, পর্ষদ ও মামলাকারীর আইনজীবী। ২১ ডিসেম্বর রিপোর্ট পেশের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। গ্রুপ ডি নিয়োগে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয় ৪ মে, ২০১৯-এ। মঙ্গলবারও গ্রুপ C, গ্রুপ D পদে বেআইনিভাবে চাকরিপাওয়া ৫০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে সিবিআই।
অন্যদিকে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary Teacher Recruitment) নিয়ে হুঁশিয়ারির সুর শোনা গেল। এবার সাড়ে ৪২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay)। ২০১৬-র নিয়োগপ্রক্রিয়ার পুরো প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি। শুধু তাই নয়, তিনি বলেন, ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব। যদিও 'ঢাকি' বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন বা কাকে বোঝাতে চেয়েছেন, সে বিষয়টি পরিষ্কার নয়।
এদিন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘যেদিন ২০১৬-র পুরো প্যানেল বাতিল করব, সেদিন ঢাকি সমেত বিসর্জনের মানে বলব। মানিক ভট্টাচার্য পর্যন্ত পৌছনোর ক্ষমতা নেই বলে, চাকরি পায়নি মামলাকারীরা’।