Teacher Recruitment Scam : 'মামলা ঝুলে থাকলে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে না' ফের CBI-র তদন্তে ক্ষোভপ্রকাশ বিচারপতি বসুর
Teacher Recruitment Scam Investigation : ''এমআর শিট বিকৃত করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?'' CBI কে তীব্র ভর্ৎসনা বিচারপতি বসুর
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : নবম – দশম নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ( Recruitment Scam ) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর ভর্ৎসনার মুখে আগেও পড়েছিল সিবিআই ( CBI ) । গত ৩১ জানুয়ারি সিবিআই আধিকারিকদের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, ' সমাজ থেকে জঞ্জাল সরিয়ে উপযুক্তদের জায়গা করে দিন।' এরপর সোমবারও ফের একবার বিচারপতির প্রশ্নের মুখে সিবিআই। আদালতের প্রশ্ন, 'চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?'নবম দশম মামলায় সিবিআইকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, 'যাঁরা টাকা দিয়েছেন এবং নিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? ... আদালত বারবার এই ব্যক্তিকে, ওই ব্যক্তিকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি বলে জিজ্ঞাসা করছে। যাঁরা ওএমআর শিট বিকৃত করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?' নবম দশম মামলায় সিবিআইকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সেই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন , 'কেমন করে সিবিআই তদন্ত করবে, সে উপদেশ কেন আদালতকে বারবার দিতে হবে?' তাঁর পর্যবেক্ষণ, 'সিবিআই-কমিশন কীভাবে কাজ করবে, সেটা আদালতকে বারবার বলে দিতে হচ্ছে, এটা ভাল দেখায় না'। 'যে বা যারা টাকা পেয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে সিবিআই-এর এই ঢিলেঢালা মনোভাব কেন ? ৬ বছরে তো অনেকে টাকা পাচার করে দিয়েছে? প্রশ্ন বিচারপতির।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'এদের হেফাজতে নিয়ে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করছে না সিবিআই? কিছু সুবিধাভোগীকে গ্রেফতার করছেন, চার্জশিট পেশ করছেন বাকি সুবিধাভোগীদের ছেড়ে রেখেছেন, এরকম কেন?'নবম দশম মামলায় সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, ' তদন্ত তাড়াতাড়ি শেষ করুন, মামলা ঝুলে থাকলে এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে না' শূন্যপদ থেকে যাবে, সিবিআই-কে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় CBI-এর তদন্ত নিয়ে, একই দিনে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতি। একদিকে যখন প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়, CBI-এর সিট থেকে তদন্তকারী অফিসারকে সরিয়ে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, অন্যদিকে তখন CBI-এর দেওয়া রিপোর্টের মধ্যে ফারাক দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সেই সঙ্গে নিজ উদ্যোগে অযোগ্য শিক্ষকদের চাকরি থেকে বরখাস্ত না করায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনকেও ভর্ৎসনা করেন তিনি।
আদালত ও ইডি-সিবিআই-এর তদন্তের দিকে তাকিয়ে আছেন হাজার হাজার যোগ্য চাকরি প্রার্থী। কিন্তু, দফায় দফায় সেই সিবিআই-ই আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ছে।