Jyotipriyo Mullick : ৩ টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি অর্থ জ্যোতিপ্রিয় ও পরিবারের সদস্যদের, আদালতে বিস্ফোরক দাবি ইডির
Ration Distribution Scam : ২৬ অক্টোবর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ অভিজিৎ দাসের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া মেরুন ডায়েরিতে 'বালুদা' বলে নাম উল্লেখ, আদালতে দাবি ইডির।
সৌভিক মজুমদার, প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriyo Mullick) ! আদালতে এমনই দাবি করল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছে সরাসরি পৌঁছেছে খোলা বাজারে রেশন বিক্রির টাকা। ৩ টি ভুয়ো সংস্থা থেকে প্রায় ৮ কোটি টাকা লোন হিসেবে পেয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এখনও তা ফেরৎ দেননি বলেও দাবি করেছে ইডি।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৭ সালের মার্চ মাসের মধ্যে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে প্রায় ৬ কোটি টাকা ও ৩ কোটি টাকা তাঁর মেয়ের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে বলেও দাবি করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। পাশাপাশি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকদের বিদেশ ভ্রমণের টিকিটও ইতিমধ্যে রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে ধৃত বাকিবুক রহমান কেটে দিয়েছিলেন বলেও দাবি করে ইডি। যদিও সেই টিকিট পরে বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল।
ইডি-র তরফে এই মুহূর্তে নজরে ৩ টি ভুয়ো সংস্থার কার্যকলাপ ও তাদের অ্যাকাউন্টের কার্যকলাপ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বিনামূল্যের রেশন অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছিল। যে তিনটি সংস্থা ডিস্ট্রিবিউটারদের ওপর দখল রেখে কাজকর্ম চালাত, তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করত বাকিবুর রহমান। ইডির অভিযোগ, সেই তিন সংস্থাকেই ১২ কোটি টাকার ভুয়ো সিকিওরিটি প্রিমিয়ার পাইয়ে দিতে সাহায্য করেছিলেন রাজ্যের তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সেখান থেকেই প্রায় ৮ কোটি টাকা লোন হিসেবে তাঁর কাছে গিয়েছিল, যা এখনও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ফেরৎ দেননি বলেও বিস্ফোরক দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। ইডির তরফে দাবি, বাকিবুর রহমানকে জেরা করে এই সমস্ত তথ্য পেয়েছে তারা।
এদিকে, ২৬ অক্টোবর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ অভিজিৎ দাসের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। অভিজিৎ দাসের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় একটি মেরুন ডায়েরি, জানায় ইডি
মেরুন ডায়েরিতে 'বালুদা' বলে নাম উল্লেখ, আদালতে দাবি ইডির। সেখানে বিভিন্ন লেনদেন সংক্রান্ত নথিরও উল্লেখ ছিল বলেই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এদিকে, ইতিমধ্যে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকের মোবাইল ফোন। তা পাঠানো হবে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য। পাল্টা, এটা বিজেপি ও শুভেন্দু অধিকারীর ষড়যন্ত্র, দাবি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। তিনি গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার, বলেও দাবি ধৃত বনমন্ত্রীর ও প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন- স্ট্রেচারে করে আদালত থেকে সোজা হাসপাতালে নিয়ে ছোটা হল জ্যোতিপ্রিয়কে