Kali Puja 2024: পুজোর রাতে শোল মাছ পোড়া নিবেদন, সোনা-রুপোর মুণ্ডমালায় সাজ বড় তারার
Coochbehar News: মাকে সাজাতে লাগে ১০৮ টি সোনা এবং রুপোর মুণ্ডমালা। পুজোর রাতেই মাকে নিবেদন করা হয় শোল মাছ পোড়া।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: দেবীর অপার মহিমা। তাঁকে ডাকলে পাওয়া যায় সবকিছু। তবে তাঁকে তুষ্ট করতে হলে মানতে হয় একাধিক নিয়ম। কোচবিহারের এই পুজো ঘিরে রয়েছে প্রাচীন ইতিহাস। কোচবিহারের বড় তারার (Boro Tara) পুজোয় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
রীতি মেনে পুজোর আয়োজন: মাকে সাজাতে লাগে ১০৮ টি সোনা এবং রুপোর মুণ্ডমালা। পুজোর রাতেই মাকে নিবেদন করা হয় শোল মাছ পোড়া। তবেই নাকি তুষ্ট হন কোচবিহারের বড় তারা। কোচবিহারের মদনমোহন বাড়ির কাঠামিয়া মন্দিরে প্রায় শেষ কালী প্রতিমা গড়ার কাজ। জনশ্রুতি রয়েছে কোচবিহারের মহারাজাদের হাতে শুরু হয় এই পুজো। তবে বর্তমানে পুজোর দায়িত্বে রয়েছে দেবত্তোর ট্রাস্ট বোর্ড। কথিত আছে, দেবী খুবই জাগ্রত। তাই মনবাঞ্চা পূর্ণ হওয়ার আশায় দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন পুণ্য়ার্থীরা।
এদিকে দুর্গাপুরের 'ষোলো আনার বড় মা'র পুজোর প্রস্তুতি ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে। একসময় শুধুই তালপাতার ছাউনি দিয়ে গড়া হত মণ্ডপ। এখন সেখানে আস্ত মন্দির। সেখানেই রয়েছেন দেবী। দুর্গাপুরের অন্ডালের ধান্ডাডিহিতে তিনি পূজিতা হন 'ষোলো আনার বড় মা' নামে। জনশ্রুতি রয়েছে, ব্রিটিশ আমলে বর্গি হামলা থেকে বাঁচতে শুরু হয়েছিল মায়ের আরাধনা। তারপর থেকে জাঁকজমক করে পুজো হয় মা কালীর। ২১ কেজি চাল ও ২১ রকম সবজি দিয়ে এখানে তৈরি করা হয় মায়ের ভোগ। মানুষের বিশ্বাস, মা খুবই চঞ্চলা। শোনা যায়, পুজো যখন শুরু হয়, তখন একবার পুজো পছন্দ না হওয়ায় মা মন্দির ছেড়ে বেরিয়ে যান। তা যাতে নাহয়, তার জন্য পরের বার থেকে মাকে ধরে রাখতে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয় মূর্তি। এক সময়ে এই পুজোই করতেন ভট্টাচার্য পরিবার, তবে এখন সেই পুজোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ষোলোআনা গ্রাম কমিটিকে। পুজো উপলক্ষে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় এখানে। মায়ের কাছে মনবাঞ্চা পূরণ করতে ছুটে আসেন প্রচুর ভক্তরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।