Purulia News: 'দীর্ঘদিন ধরে মহিলাকে ডাইনি অপবাদ', কালী পুজোয় 'ধারালো অস্ত্র হাতে চড়াও', ঘর ভেসে গেল রক্তে, ভয়াবহ ঘটনা পুরুলিয়ায় !
Kali Puja 2025 Purulia : ডাইনি অপবাদে আদিবাসী মহিলাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ, শিউরে ওঠা ঘটনা পুরুলিয়ায় !

পুরুলিয়া: ফের ডাইনি অপবাদে আদিবাসী মহিলাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। ঘরের মেঝে থেকে মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। খুনের অভিযোগ মৃতার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে, গ্রেফতার ৪।

ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার চাপুরি গ্রামে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন, অনুমান পুলিশের।'দীর্ঘদিন ধরে মহিলাকে ডাইনি অপবাদ দিত আত্মীয়দের একাংশ। সোমবার স্বামীর অনুপস্থিতিতে ধারালো অস্ত্র হাতে চড়াও হয় অভিযুক্তরা', অভিযোগ নিহতের পরিবারের। গতবছর ডাইনি অপবাদে দুই আদিবাসী মহিলাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে । মারধরের সেই ছবি ভাইরাল হয়েছিল।অভিযোগ, দুই মহিলাকে ডাইনি অপবাদে বেধড়ক মারধর করে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছিল।
৩ দিন নিখোঁজ থাকার পর, রাত ১১টা নাগাদ গ্রামের মধ্যেই সেচ খালে দু’জনের দেহ ভাসতে দেখেছিলেন স্থানীয়রা। এই ঘটনায় গ্রামের মোড়ল-সহ ৬ জনকে আটক করেছিল ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে অতীতে এর আগেও একাধিকবার এমন মর্মান্তিক ঘটনার মুখোমুখী হয়েছিল রাজ্য।ঝাড়গ্রামে ডাইনি সন্দেহে বৃদ্ধা মহিলাকে গলা কেটে খুনের ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছিল ঝাড়গ্রাম জেলা আদালত। মূলত, ডিজিট্যালের যুগেও যে, কুসংস্কার আর অন্ধত্ব যে কত মানুষের প্রাণ পর্যন্ত কেড়ে নিতে পারে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ ছিল ঝাড়গ্রামের এই ঘটনা।
যদিও শেষঅবধি 'বিচার' পেয়েছিল নিহতের পরিবার।সচেতনার আলো তখনও পৌঁছায়নি গ্রামে। সালটা ২০১৭ সাল। ওই বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ৯ তারিখ ঘটে গিয়েছিল এক মর্মান্তিক ঘটনা। ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের নয়াগাতে রাধাকান্ত বেরা নামে এক ব্যক্তি ডাইনি সন্দেহে পাশের বাড়ির তরুবালা বেরাকে জোর করে টানতে টানতে গ্রামের শিবমন্দিরে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দেহ থেকে গলা আলাদা করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এরপরে মৃতার মেয়ে আরতি বেরার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল সাঁকরাইল থানার পুলিশ।উদ্ধার করা হয়েছিল অস্ত্র।
রাধাকান্ত-সহ মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলার কেস রুজু করা হয়েছিল।প্রায় ৬ বছর ধরে বিচার চলে। মোট ১৯ জন স্বাক্ষী দেয়। সাঁকরাইল থানার পুলিশ খুব দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত করে। এদিকে, ২০১৭ সালের ২৬ এপ্রিল অর্থাৎ ঘটনার ২ মাসের মাথায় উপযুক্ত প্রমাণ না পাওয়ার ফলে অভিযুক্ত ৪ জনের মধ্যে ৩ জনকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু মূল অভিযুক্ত রাধাকান্ত বেরার মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন ঝাড়গ্রাম আদালতের ফার্স্ট কোর্টের বিচারক।






















