পাশে থাকার বার্তা দিতে শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলামের বাড়িতে কামদুনির মৌসুমী
পাশে থাকার বার্তা দিয়ে তাঁরা বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা লড়ছেন, এবং এই লড়াই চালিয়ে যাবেন।
কলকাতা: শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলামের বাড়িতে গেলেন কামদুনির প্রতিবাদী মৌসুমী কয়াল। ছিলেন প্রতিবাদী মুখ হিসেবে পরিচিত সইদুল লস্কর, প্রতিমা দত্ত, প্রতাপ বসু, সুজয় পালিতরাও। মইদুল ইসলামের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে তাঁরা বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা লড়ছেন, এবং এই লড়াই চালিয়ে যাবেন। ৫ শিক্ষিকার বিষ খাওয়ার ঘটনায়, শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের সম্পাদক মইদুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেফতার করতে গেলে গত বৃহস্পতিবার তুলকালাম বাধে বেলেঘাটায়।
শিক্ষক আন্দোলনের নেতা ও শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের সম্পাদক মইদুল ইসলামকে ঘিরে গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতভর নাটক চলে। এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ বেলেঘাটায় মইদুলের শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করতে যায় বিধাননগর নর্থ ও বেলেঘাটা থানার পুলিশ। শিক্ষক নেতার সঙ্গে পুলিশের তুমুল বাগবিতণ্ডা হয়। শেষপর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার না করেই ফিরে যান পুলিশ কর্তারা। গোটা ঘটনা জানিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে মেল করেছেন মইদুল ইসলামের স্ত্রী।
আত্মহত্যার প্ররোচনা-মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মইদুলের বাড়িতে যায় পুলিশ। মইদুলকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন, ৩০৭ ধারায় মামলা মইদুলের বিরুদ্ধে। হাইকোর্টে জানাল পুলিশ। মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানি। এর মধ্যে যদি পুলিশ পদক্ষেপ করে, তাহলে আদালতকে জানাতে পারেন মইদুল। জানালেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। মইদুলের বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। এলাকায় কেন পুলিশ, তা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান শিক্ষক মঞ্চের সদস্যদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনরত পাঁচ শিক্ষিকার বিষ খাওয়ার ঘটনায় শিক্ষক আন্দোলনের নেতা মইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। শিক্ষক নেতার দাবি, ঘটনাস্থলে হাজির না থাকা সত্ত্বেও তাঁকে দায়ী করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় পুলিশ বিনা নোটিসে, ওয়ারেন্ট ছাড়াই গতকাল তাঁর বাড়িতে হাজির হয় বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে আইনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষক নেতা। এরপরই পুলিশি অতিসক্রিয়তার অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।