Kasba Incident: কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে 'অভিযোগ তুলে নিতে এবার নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি' ! বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের
Kasba Law College Molestation Case Update: কসবার ল কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ !

কলকাতা: কসবার ল কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে এবার নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ! বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার বাবা। ১৯ নভেম্বর বাইকে এসে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি-শাসানি দেওয়ার অভিযোগ। গোটা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে, বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, বনগাঁ থেকে ফেরার পথে আচমকাই বিক্ষোভের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় !
কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে মনোজিৎ মিশ্র সহ ৪ অভিযুক্তকে নিয়ে ল' কলেজে পুনর্নির্মাণ করেছিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। চার অভিযুক্তকে নিয়ে কলেজে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। কলেজের বিভিন্ন অংশে চলেছিল পুনর্নির্মাণ। ইউনিয়ন রুম, গার্ড রুম থেকে শৌচালয়, সব জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৪ অভিযুক্তকে। নির্যাতিতার অভিযোগ অনুযায়ী পর পর ঘটনাক্রম মিলিয়ে দেখেছিলেন তদন্তকারীরা। পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা ছিলেন কলেজে।
৪ অভিযুক্তকে বের করে নিয়ে যাওয়ার পরে কলেজের বিভিন্ন অংশে থ্রিডি ম্যাপিং করেছিলেন তদন্তকারীরা। ইউনিয়ন রুম, গার্ড রুমের থ্রিডি ম্যাপিং করা হয়েছিল। ক্রাইম সিনের ডিটেল মডেল তৈরি করতে এই থ্রিডি ম্যাপিং ব্যবহার করা হয়েছিল। কোনও প্রমাণ যাতে চোখ না এড়ায়, সেইজন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থলের ৩৬০ ডিগ্রির ছবি ধরা পড়ে থ্রিডি ম্যাপিংয়ে। ঘটনাস্থলের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে থ্রিডি ম্যাপিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফটোগ্রামেট্রি টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছিল এই স্ক্যানারে।
শিক্ষাঙ্গনের এই কুৎসিত ঘটনার প্রতিবাদে নাগরিক সমাজকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজভবনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, এই ঘটনায় চুপ থাকার মানে হল, দোষীদের মুখ বুজে সহ্য করা। শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য় সৃষ্টিকারী সর্বগ্রাসী শক্তিকে থামাতে গোটা সমাজকে রুখে দাঁড়াতে হবে।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত কসবার আইন কলেজে যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে তাতে শিক্ষাঙ্গনের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল সেসময় বিবৃতিতে।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত যে সমস্ত কলেজ রয়েছে, সেখানকার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়েও জোর দিতে বলেছিলেন রাজ্যপাল।কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের আগেই 'অত্যন্ত প্রভাবশালী' বলে দাবি করেছিল পুলিশ।এই প্রসঙ্গে রাজভবনের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছিল,যতই প্রভাবশালী হোক বা ওপরমহলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকুক না কেন, কাউকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কায়েমী শক্তি প্রতিষ্ঠা করা বা হিংসাত্মক পরিবেশ তৈরি করতে দেওয়া উচিত নয়। কোনওভাবেই কলেজ কর্তৃপক্ষকে কোনও বহিরাগত শক্তি যাতে প্রভাবিত করতে না পারে, সে ব্যাপারেও নজর দিতে হবে।






















