Kasba News: কসবাকাণ্ডে হাইকোর্টে জমা পড়ল তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট, 'তদন্তে সন্তুষ্ট' নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী
Kasba Case Update On HC: কলকাতা হাইকোর্টে মুখবন্ধ খামে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল পুলিশ।

কলকাতা: কসবাকাণ্ডে হাইকোর্টে জমা পড়ল তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টে মুখবন্ধ খামে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল পুলিশ। গোপন জবানবন্দি ও মেডিক্য়াল রিপোর্ট দেখেন বিচারপতি সৌমেন সেন। 'তদন্তে সন্তুষ্ট' বলেই জানিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী।
আদালতে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী অরিন্দম জানা জানিয়েছেন, 'এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ নেই, তদন্তে সন্তুষ্ট। রিপোর্টের কপি দেওয়া হোক, তাহলে জানতে পারব তদন্ত কোন পর্যায়ে আছে।' তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে ১ মাস পর ফের রিপোর্ট দেবে পুলিশ। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিল কলেজ কর্তৃপক্ষও। আলাদা হলফনামা জমা দিল কসবা থানা।
মামলাকারী আইনজীবী সৌম্যশুভ্র রায় বলেছেন, OC কসবা পুলিশ স্টেশন একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। একটা Base less রিপোর্ট। তথ্য দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করেনি। তার সাপেক্ষে আমরা পরবর্তী শুনানিতে, ফাইল করব। এখনও পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কোনও রিপোর্ট জমা করেনি। আগামী শুনানিতে জমা করবে। তারপরে আগামী অগ্রগতি জানা যাবে। আজকে হাইকোর্টের কাছে সিডি প্রোডিউস করা হয়। বন্ধ খামে মুড়ে হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে।'
কসবা ল' কলেজের ভাইস প্রিন্সিপল নয়না চট্টোপাধ্যায় কী বলছেন, 'আমরা এটাই চাইছি, দোষীর শাস্তি হোক। কলেজে যেটা হয়েছে, ..আমার ছেলে মেয়ে থাকলেও পড়তে যাওয়া ভয়ের ব্যাপার হয়ে যেত। এই কারণে, আইন যেটা বলবে, সেভাবে আমরা সাহায্য করে যাচ্ছি। ' প্রসঙ্গত, কসবা গণধর্ষণকাণ্ডের ১১দিন পর খুলেছে কলেজ। আসতে শুরু করেছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। কিন্তু, আতঙ্ক এখনও কাটেনি। বরং কলেজে আসা পড়ুয়াদের মুখে এখনও ফিরছে সেই মনোজিতের দাপট এবং নানা অপকীর্তির কথাই! সাউথ ক্যালকাটা ল' কলেজের পড়ুয়া ওয়াসিম আক্রম মল্লিক বলেন, 'ওরা যা করত ইউনিয়ন রুমে। কলেজে দাদাগিরি যা করত গ্রাউন্ড ফ্লোরটা। ওরা কেমন একটা হাবভাব দেখিয়ে ঘুরে বেড়াত। আমরা ভাবতাম হয়তো সিনিয়র হবে। প্রশ্রয় না থাকলে এত সাহস কোথা থেকে পায়? নিশ্চয় তো প্রশ্রয় বা পিছনে ওদের কেউ আছে। '
মঙ্গলবার থেকে আইন কলেজে স্নাতোকোত্তরের পঠনপাঠন শুরুর কথা ছিল। কিন্তু কোনও পড়ুয়াই এলেন না! প্রজেক্ট জমা দেওয়ার জন্য শুধুমাত্র দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদেরই কলেজে দেখা গেল। সাউথ ক্যালকাটা ল'কলেজ পড়ুয়া সৈয়দা মাসরুরা খাতুন বলেন, এরকম কাজ হলে নর্মাল পাবলিক ঘরে ভয় তো পাবেই। কসবার আইন কলেজে মনোজিতের দাপট ঠিক কতটা ছিল তা পড়ুয়াদের কথা থেকেই স্পষ্ট। এমনকী, ভাইস প্রিন্সিপালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।






















