Katwa College: নির্বাচন ছাড়াই GS, AGS-এর পদ ও পদাধিকারীর নাম উল্লেখ! অধ্যক্ষের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক
East Burdwan News: খোদ প্রিন্সিপালের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জ্বলজ্বল করছে GS অর্থাৎ, জেনারেল সেক্রেটারি এবং AGS বা অ্য়াসিস্ট্য়ান্ট জেনারেল সেক্রেটারির পদ ও পদাধিকারীর নাম।

পূর্ব বর্ধমান: এবার কাটোয়া কলেজের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক। ছাত্র সংসদ নির্বাচন ছাড়াই কলেজে সংসদ গঠন হয়ে গেছে বলে অভিযোগ। কলেজের বিজ্ঞপ্তিতে খোদ GS, AGS-এর পদ ও পদাধিকারীর নাম উল্লেখ করছেন অধ্য়ক্ষ। বিরোধীদের অভিযোগ, কলেজে কলেজে বকলমে যে তৃণমূলেরই ইউনিয়ন চলছে, এটা তারই জ্বলজ্য়ান্ত উদাহরণ। যদিও এতে দোষের কিছু দেখছেন না কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি, তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।
খোদ প্রিন্সিপালের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জ্বলজ্বল করছে GS অর্থাৎ, জেনারেল সেক্রেটারি এবং AGS বা অ্য়াসিস্ট্য়ান্ট জেনারেল সেক্রেটারির পদ ও পদাধিকারীর নাম। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া কলেজের এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। রাজ্য়ে শেষবার, ২০১৭-র জানুয়ারিতে কলেজ-বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ছাত্র ভোট হয়েছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে নির্বাচন ছাড়াই, কীভবে কাটোয়া কলেজে ছাত্র সংসদ গঠন হয়ে গেল? কীভাবে ঠিক হয়ে গেলেন GS বা AGS? পড়ুয়ারাদের একাংশের দাবি, দিন দশেক আগে কলেজ কর্তৃপক্ষ, ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেয়। সেই কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়, ছাত্র সংসদের চাবি। রীতিমতো ফিতে কেটে প্রবেশ করা হয় ইউনিয়ন রুমে। সেখানে প্রদীপ জ্বালাচ্ছেন কলেজের অধ্য়ক্ষ। ইউনিয়ন রুমে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বড় করে বাঁধানো ছবি। বিরোধীদের অভিযোগ, ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হলেও, কলেজে কলেজে যে বকলমে তৃণমূলেরই ইউনিয়ন চলছে, এটা তারই জ্বলজ্য়ান্ত উদাহরণ।
কসবা গণধর্ষণকাণ্ডের প্রেক্ষিতে, চলতি মাসের ৩ তারিখ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, যেখানে ছাত্র ভোট হয়নি, সেখানে ইউনিয়ন রুম বন্ধ রাখতে হবে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, হাইকোর্টের এই নির্দেশের ৭ দিন পর খোদ কলেজের প্রিন্সিপাল এই বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছেন।ল যেখানে কলেজে একটি অনুষ্ঠানে নাম নথিভুক্ত করার জন্য়, GS, AGS-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এবিষয়ে অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকার জানান, "এটা একটা আমাদের ক্ল্য়ারিকাল মিসটেক হয়েছে। আমাদের এখানে ছাত্র নির্বাচন যেহেতু হয় না, আমাদের গভর্নিং বডি থেকে আমাদের একটা কমিটি করা হয়, বিভিন্ন সিমেস্টারের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে। সেই ছাত্রছাত্রীদের নমটা দেওয়া হয়েছে। পাশে ভুলবশত ওগুলো বসে গেছে। ওটা আমরা তুলে নিচ্ছি।''
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, যে পরিচালন সমিতির বৈঠকের কথা উল্লেখ করছেন অধ্য়ক্ষ, সেই বৈঠকে দেখা গেছে, কাটোয়া কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি এবং কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্য়ায়কে। তিনি বলেন, "যখন ভোট হয় না, তখন প্রিন্সিপাল তাঁর মনোনীত ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্য়মে একটা ছাত্র-ছাত্রীদের কাজের সুবিধার জন্য় একটা ইউনিয়ন গঠন করে দেন। তারা সেই কাজ চালায়। এদের গায়ে তো কারও তৃণমূলের স্ট্য়াম্প নেই। কলেজের পড়ুয়া এরা। এখানে তো বাইরের কেউ, কলেজ পড়ুয়া বাদ দিয়ে কেউ যদি থাকত, তাহলে অনেক প্রশ্ন উঠত।''






















