KMC News: করোনা আক্রান্তদের প্রয়োজনে খাবারের ব্যবস্থা কলকাতা পুরসভার, আরোগ্য কামনায় পৌঁছবে চিঠিও
দ্বিতীয় ওয়েভের দৈনিক সংক্রমণের শিখরকে ৮ দিনেই ছাপিয়ে গেছে কলকাতার দৈনিক সংক্রমণ। এই অবস্থায়, আক্রান্তদের প্রয়োজনে খাবারের ব্যবস্থা করছে কলকাতা পুরসভা। যাঁদের প্রয়োজন নেই, তাঁদের জন্য পাঠানো হচ্ছে ফলের ঝুড়ি!
অর্ণব মুখোপাধ্যায়, সন্দীপ সরকার ও সুনীত হালদার: করোনা আক্রান্তদের প্রয়োজনে খাবারের ব্যবস্থা করছে কলকাতা পুরসভা (KMC)। যাঁদের প্রয়োজন নেই, তাঁদের জন্য পাঠানো হচ্ছে ফল। বরো থেকে এগুলো পাঠানো হবে। করোনা আক্রান্তদের আরোগ্য কামনায়, কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipality) তরফে দেওয়া হচ্ছে চিঠি।
দ্বিতীয় ওয়েভের (Corona 2end Wave) দৈনিক সংক্রমণের শিখরকে ৮ দিনেই ছাপিয়ে গেছে কলকাতার দৈনিক সংক্রমণ। এই অবস্থায়, আক্রান্তদের প্রয়োজনে খাবারের ব্যবস্থা করছে কলকাতা পুরসভা। যাঁদের প্রয়োজন নেই, তাঁদের জন্য পাঠানো হচ্ছে ফলের ঝুড়ি!!
এ ছাড়াও, সব করোনা আক্রান্তদের আরোগ্য কামনা করে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে চিঠি। বিভিন্ন বরোর থেকে এগুলো পাঠানো হবে।
কলকাতা পুরসভার অন্দরেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর থেকে, বরো চেয়ারম্যান, মেয়র পারিষদ। বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর। সস্ত্রীক পুর কমিশনার, মেয়রের OSD, মেয়রের ঘরের দু’জন কর্মী এবং পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সচিব খলিল আহমেদ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়াও, কলকাতা পুরসভার অন্তত ২০০ জন কর্মী করোনা আক্রান্ত। এই অবস্থায়, পুরসভার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা করা হয়েছে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকে।
করোনা রুখতে, বিভিন্ন এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন করেছে কলকাতা পুরসভা। এছাড়াও, কলকাতা পুরসভার তরফে, বিভিন্ন বাজারে করোনা নিয়ে মানুষকে সচেতন করে, মাইকে প্রচার করা হচ্ছে।
রাজ্যে ছাপিয়ে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। আজ কার্যত ১৪হাজার পার করে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা, চিকিৎসক থেকে পুলিশ, দফতরে দফতরে থাবা বসিয়ে ভাইরাস। কলকাতা থেকে জেলা। পুলিশের মধ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ভবানীপুর থানার, ৩০ জন পুলিশকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ৮ IPS-সহ কলকাতা পুলিশের ১৭৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে শুধু বুধবারই একদিনে ৫২ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন।
হু হু করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে কলকাতা পুলিশেও। পরিস্থিতি সব থেকে খারাপ ভবানীপুর থানার। সূত্রের খবর, কার্যত গোটা ভবানীপুর থানাই করোনা আক্রান্ত। এই থানার ৩০ জন পুলিশকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। লালবাজারে একের পর এক আইপিএস অফিসার করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন।সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ডিসি ট্রাফিক অরিজিৎ সিন্হা।
এখনও পর্যন্ত ৮ IPS-সহ কলকাতা পুলিশের ১২১ জন কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্য পুলিশে ৫ IPS-সহ ৭৬ জন করোনা আক্রান্ত। দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বেনিয়াপুকুর থানার ওসি অলোক সরকার। করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার-সহ ৭ জন পুলিশ আধিকারিক।