Kolkata News: বর্ষবরণের রাতে 'শ্লীলতাহানি', ২৮ দিনের মাথায় গ্রেফতার অভিযুক্ত
Bidhannagar Police: বাগুইআটি থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন তরুণী। ঘটনার তদন্তভার নিয়েছিল বিধাননগর মহিলা থানা।
রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ। সেই সূত্রেই ক্রমশ বেড়েছিল ঘনিষ্ঠতা। বর্ষবরণের রাতে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেই ফেসবুক ফ্রেন্ডের বিরুদ্ধেই বর্ষবরণের রাতে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছিলেন তরুণী। প্রায় ১ মাসের মাথায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কী অভিযোগ:
চলন্ত গাড়ির মধ্যে তরুণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ছিল। অভিযুক্তের নাম সুরজিৎ ঘোষ ওরফে রুদ্র। শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাগুইআটির বাসিন্দা, ওই তরুণীর দাবি, সোশাল মিডিয়ায় তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় রুদ্র ঘোষ নামে ওই যুবকের। ক্রমে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। গত ৩১ ডিসেম্বর, তরুণীর সঙ্গে দেখা করেন যুবক। তরুণীর দাবি, প্রথমে তাঁরা নিউটাউনে একটি কফি শপে দেখা করেন। সেখান থেকে তাঁকে একটি অভিজাত হোটেলে নিয়ে যান যুবক। তরুণীর অভিযোগ, তিনি বাড়ি ফিরতে চাইলে, তাঁকে বাধা দেন যুবক।
এরপর গাড়িতে তুলে তরুণীর শ্লীলতাহানি করেন। পরের দিনই বাগুইআটি থানায় লিখিত অভিযোগ জানান তরুণী। ঘটনার তদন্তভার নেয় বিধাননগর মহিলা থানা। ঘটনার মাস খানেকের মাথায়, শনিবার রাতে, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, রুদ্র ঘোষ নয়, অভিযুক্তের আসল নাম সুরজিৎ ঘোষ। ধৃতের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
আরও ঘটনা:
কদিন আগেই রাজ্যে পরপর দুইবার শ্লীলতাহানি এবং মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। বোনের সম্মান বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন দাদা। অভিযোগ ছিল স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। মালদা জেলার হবিবপুরের ঘটনায় হইচই পড়েছিল এলাকায়। হবিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতের পরিবার। গ্রেফতার করা হয়েছে ১ জনকে। তার আগে হাওড়াতেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। টিউশন পড়ে ফেরার সময় এক কিশোরীকে আনতে গিয়েছিল তার বাবা। কিশোরীর অভিযোগ, ফেরার সময় রাস্তা আটকে স্থানীয় তিন যুবক তার শ্লীলতাহানি করে। মেয়ের চিৎকার শুনতে পেয়ে ছুটে যান বাবা। বাবাকে অন্ধকার মাঠে টেনে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে তিন জন। রাতেই উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই ব্যক্তিকে। পরে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে মারা যান তিনি। ওই ঘটনায় তুমুল বিক্ষোভ হয়েছিল এলাকায়। আক্রান্ত ছাত্রীর বাড়িতে আসেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। মৃতের স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন। পড়াশোনার জন্য রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা যাতে তাঁরা পান, তা নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি করেছেন নিহত ব্যক্তির স্ত্রী।
আরও পড়ুন: 'কাকে মুখ্যমন্ত্রী করেছেন, বুঝতে হবে', ISF ইস্যুতে বলেন শুভেন্দু, বিস্ফোরক ফিরহাদ