Ballygunge Science College : 'মিডিয়া জানানোর পর তৎপর হল পুলিশ', সরব বালিগঞ্জের কলেজের 'নির্যাতিত' ছাত্র
Family Demands Justice : অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় পরিবার
কলকাতা : যাদবপুরকাণ্ডের পর একের পর এক ছাত্র নির্যাতনের অভিযোগ সামনে আসছে। এবার বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে ছাত্রের ওপর লাগাতার নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হলেও, তেমন কোনও সক্রিয় পদক্ষেপ করেনি পুলিশ এমনই দাবি জানিয়েছেন অভিযোগকারী ছাত্র।
৮ জুলাই বালিগঞ্জ থানায় মামলা রুজু হয়। আজ ১৯ অগাস্ট। অবশেষে শুক্রবার বিকেলে ছাত্রের মোবাইলে পুলিশের মেসেজ যায়। খবর প্রকাশ্যে আসার পর পুলিশের তৎপরতা ? 'আলিপুর আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে জবানবন্দি দিতে হাজির পড়ুয়া।' অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় পরিবার।
অভিযোগকারী পড়ুয়া বলেন, "গতকাল এবিপি আনন্দের স্টুডিওয় যখন ছিলাম, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ (সাউথ) বালিগঞ্জ আমাকে মেসেজ করে জানান, কাল ১২টা নাগাদ আলিপুর পুলিশ কোর্টে যেতে হবে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বয়ান দেওয়ার জন্য। গোপন জবানবন্দি। আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, ন্যাশনাল কমিশন ফর সিডিউল কাস্ট, মানবাধিকার কমিশন, UGC- এদের জানিয়েছিলাম। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। যখন মিডিয়া জানাল তখন অতি তৎপরতার সঙ্গে জিনিসগুলো করল। তার আগে কিছু করেনি। প্রথমে এফআইএর নেয়নি। আমাকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিল। লালবাজারে অভিযোগ করি, তাদের মধ্যস্থতায় এফআইআর হয়। এফআইআরে লঘু ধারা দেয়। যারা অভিযুক্ত, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। পুলিশ হয়তো ভয় পাচ্ছে পদক্ষেপ নিতে, তাই হয়তো এখানে নিয়ে এসেছে। গতকাল সংবাদমাধ্যমে দেখলাম, আমাদের এইচওডি অতীন চৌধুরী এবং ভিসি শান্তা দে-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। দুই জনের মধ্যে একটা মিল দেখলাম, তাঁরা অস্বীকার করলেন। বললেন, ঘটনাগুলো জানি না। কিন্তু, ওঁরা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলেছেন। ভিসির সঙ্গে আমি নিজে কথা বলেছি। উনি বলেছিলেন লিখিত দিতে। আমি লিখিত দিয়েছিলাম। উনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, বোর্ড অফ রেসিডেন্সির সেক্রেটারি সন্দীপ মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দেখব। তার পরেও উনি মিডিয়ার সামনে বলেছেন, বিষয়টি আমি জানি না। আমার কাছে আসেনি। একই জিনিস অতীন চৌধুরী বলেছেন।"
যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। নদিয়া থেকে পড়তে আসা ওই ছাত্রের মৃত্যুর পর ফের চর্চায় উঠে এসেছে র্যাগিং! ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯। এদের মধ্যে ৪ প্রাক্তনী ও ৫ জন পড়ুয়া রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকে জিজ্ঞাসাবাদে একই বয়ান দিচ্ছিলেন পড়ুয়ারা। বয়ানের বাঁধা গত প্রাক্তনীদের শেখানো বুলি বলেই মনে করেছিলেন তদন্তকারীরা। এরপরই টানা জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে আরও কয়েকজনের নাম। ঘটনায় আরও কয়েকজন পড়ুয়ার খোঁজ করা হচ্ছে।